জেনেনিন,শনিবারেই কেন হনুমানের উপাসনা করা হয়

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে শনিবার স্থানীয় লোকেরা হনুমানের উপাসনা করেন, তাঁদের বিশ্বাস এতে তাদের উপর শনির কোনও দর্শন থাকেনা।যে সমস্ত লোকেদের রাশিফলে শনি দোষ থাকে তাদের শনিবার হনুমানের উপাসনা করতে এবং শনিদেবকে সরিষার তেল দিতে বলা হয়।

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন হনুমান ভক্তদের শনি দেবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে? আমরা আপনাকে বলি এক্ষেত্রে অনেক গল্প বলা হয়।

সর্বাধিক প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে, রাবণ শনিদেবীকে বন্দী করেছিলেন এবং তাঁকে লঙ্কার কারাগারে রেখেছিলেন। হনুমানজি যখন সীতা মাইয়ার সন্ধানে লঙ্কায় আসেন, মা জনকীর সন্ধান করতে গিয়ে সে ভগবান শনি দেবকে কারাগারে বন্দী অবস্থায় দেখেন। হনুমানজি তখন শনিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। শনিদেব ভগবান হনুমানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে  যেশনিবার হনুমানের উপাসনা করবে, তাকে তাঁর ক্রোধের ভজন হবেন না।

অন্য জনশ্রুতি অনুসারে হনুমানজি শ্রী রামের কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় শনিদেব সেখান থেকে যাচ্ছিলেন। শনিদেব  দুষ্টুতা বুঝতে পেরে হনুমান জির কাছে পৌঁছে গেলেন, তাঁর কাজে বাধা দিয়েছিলেন। হনুমানজি শনিদেবকে সতর্ক করেছিলেন এবং তাঁকে তা করতে বলেন, কিন্তু শনি দেব তাতে রাজি হননি।

হনুমান জির সতর্কতা শোনার পরেও শনিদেব কান দিলেন না এবং বার বার তাঁকে হয়রানি শুরু করলেন। বিরক্ত হয়ে হনুমান জী শনিদেবকে নিজের লেজে চেপে ধরে রামের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

শনি দেব সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন তবে বজরঙ্গবালীর হাত থেকে রেহাই পেলেন না। হনুমান জি কাজ করছিলেন এবং তাঁর লেজটি চারদিকে ঘোরাফেরা করছিল। শনি দেব লেজ চলাচলের কারণে অনেক জায়গায় আহত হয়েছেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে হনুমান জি শনি দেবের কথা ভাবেন এবং তিনি শনিদেবকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

শনিদেব  তাঁর ভুল বুঝতে পেরে হনুমানজির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে শ্রী রাম এবং হনুমান জির ভক্তরা তাদের বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন।

এর পরে শনি দেব  তাঁর ঘায়ে লাগানোর জন্য হনুমানজির সরিষার তেল চেয়েছিলেন। হনুমানজি তাঁকে তেল দিলেন। তখন শনিদেব  বলেছিলেন যে এই স্মৃতিতে শনিবার যে আমাকে সরিষার তেল দেয় সে আমার বিশেষ আশীর্বাদ পাবে।