ত্বকের ছত্রাকজনিত সমস্যার সমাধান
ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে যে গোল গোল ছোপ পড়ে ও চুলকায়, তাকে সাধারণত দাদ বলা হয়। আমাদের সমাজে এটি খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি খুবই ছোঁয়াচে। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পিঠ, হাত, পা, কুঁচকি, বগল ও শরীরের নানা ভাঁজে প্রথমে লালচে গোল গোল বা ডিম্বাকৃতির ছোপ দেখা দেয়। এর ওপর লাল আবরণ থাকে ও ভীষণ চুলকায়। এত বেশি চুলকায় যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।
জেনে নিন এই সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস-
অ্যাথলেট ফুট: এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। সাধারণত পায়ের পাতা কিংবা দুই আঙুলের মাঝখানে চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমস্যার ক্ষেত্রে পা সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। অ্য়ান্টি ফাংগাল ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে এবং খোলা জুতো পরতে হবে।
দাদ: চামড়ার উপর গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় এই রোগে। ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলে এই ধরনের ক্ষত হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার জামা কাপড় পরতে হবে। ক্ষতস্থানে কাটাছেঁড়া করা যাবে না। অ্যান্টি ফাংগাল ক্রিম লাগাতে হবে।
এগজিমা: ত্বকে জ্বালা, ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি এগুলি এগজিমার লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে নারকেলের তেল লাগালে আরাম পেতে পারেন। এছাড়া সব সময় সুতির কাপড় পরার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
টিনিয়া ক্যাপিটিস: এই রোগে মাথার ত্বকে দাদ হয়। তবে এই ছত্রাকজনিত রোগের ফলে ক্ষত স্থান দেখা যেতে পারে ভ্রু, দাড়িতেও। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ। এমনকী তোয়ালে চিরুনি, টুপি, বালিশের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অ্যান্টি ফাংগাল শ্যাম্পু এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে।
No comments: