তুলসী পাতার গুনাগুন
আয়ুর্বেদে তুলসিকে একটি রোগ-ধ্বংসকারী ভেষজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বহু রোগে ওষুধ হিসাবে তুলসীর ব্যবহারের সাথে সাথে তুলসীর পাতা দিয়ে ত্বকের সংক্রমণে চিকিৎসা করা হয়।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তুলসীর উপকারিতা ।
তুলসীর পুষ্টিগুণ তুলসীতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুব উপকারী। তুলসী পাতায় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তুলসীতে মূলত ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, দস্তা এবং আয়রন থাকে এর সাথে তুলসিতে সিট্রিক, টারটারিক এবং ম্যালিক অ্যাসিডও রয়েছে।
তুলসীর উপকারিতা
- তুলসির গোড়া কাশি বা সর্দির সময় সুপারির মতো চুষতে পারেন।
- সর্দিকাশির সময় তুলসী পাতা মুখে লবণের মতো কালো নুন দিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
- তুলসির সবুজ পাতা আগুনে টুকরো করে নুন দিয়ে খেলে কাশি ও গলা নিরাময় হয়।
-তুলসী পাতা দিয়ে চারটি ভাজা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কাশি সেরে যায়।
তুলসীর নরম পাতা চিবিয়ে খেলে কাশিতে শীঘ্রই মুক্তি পাওয়া যায়।
কাশি-ঠাণ্ডায়- তুলসী পাতা, আদা এবং কালো মরিচ দিয়ে তৈরি চা পান করার সাথে সাথেই উপকার হয়।
দশ - বারোটি তুলসী পাতা এবং আট-দশটি কালো গোলমরিচ চা পান করে কাশি, সর্দি, জ্বর ভালো হয়ে যায়।
ফুসফুসে যদি ছড়াছড়ি এবং কাশি হয় তবে আপনি শুকনো তুলসী পাতা চার গ্রাম চিনির সাথে নিতে পারেন।
দেড় চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে কালো তুলসীর রস খেলে কাশি নিরাময় হয়।
No comments: