Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

পিরিয়ড চলা কালী নশারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয় জেনেনিন কেন এই ধরণের সমস্যা হয়



মাসিক ঋতুচক্রের আগে কম-বেশি সব মেয়েরই নানা ধরনের সমস্যা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, দৈনন্দিন জীবনে সেই অর্থে কোনও প্রভাব ফেলে না। কিন্তু যাঁরা ততটা সৌভাগ্যবান নন, তাঁদের হয় মহা ঝামেলা। 



পিরিয়ড চলাকালীন পেটে বা কোমরে ব্যথা সম্পর্কে তাও কিছু সচেতনতা আছে -- কিন্তু তার আগেও যে নানা সমস্যায় অনেকেই পর্যুদস্ত হয়ে থাকেন সে বিষয়ে মেয়েদের নিজেদেরই তো তেমন জ্ঞান নেই! ঋতুচক্র শুরুর আগে প্রতিটি মেয়ের হরমোনের স্তরেই কিছু পরিবর্তন আসে। বেড়ে যায় স্ত্রী-হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ – ফলে মুড সুইং হতে পারে, বাড়তে পারে রাগ ও উত্তেজনার পরিমাণও। সেই সঙ্গে কমে সেরোটোনিনের পরিমাণও। ফলে বিরক্তিবোধটাই বাড়ে। 


তা ছাড়াও, এমন অনেক পরিবার আছে, যেখানে বেশিরভাগ মহিলাই পিএমএস বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের শিকার – সেই সব পরিবারের মহিলাদের এমনটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বাড়িতে যাঁরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন বা ডিপ্রেশনের পুরোনো ইতিহাস আছে, তাঁদেরও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।


কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে আপনার এই সমস্যা আছে?

স্তনবৃন্তে ব্যথা, ব্রণ, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, পেট ফাঁপা, কনস্টিপেশন, ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো শারীরিক সমস্যা ছাড়াও কারও কারও ঘুমোতে অসুবিধে হয়। মনঃসংযোগে সমস্যা, রাগ, সামান্য সামান্য ব্যাপারে কান্নাকাটি, লিবিডো কমে যাওয়া, মেজাজ হারানো হচ্ছে পিএমএসের মূল লক্ষণ। আপনি যদি লাগাতার কয়েকমাস পিরিয়ডের জন্য নির্ধারিত দিনগুলির ৫-১১ দিন আগে নিজের শারীরিক লক্ষণগুলি খুঁটিয়ে দেখেন, তা হলেই বুঝে যাবেন আপনার পিএমএস হয় কিনা। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা সামলে নেওয়া যায়, একবার পিরিয়ড শুরু হলে কমেও যায়। তবে যদি মনে হয় যে লক্ষণগুলো জটিল আকার ধারণ করছে, তা হলে অতি অবশ্যই একবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।


এই সময়ে কোন কোন ঘরোয়া সমাধান আপনাকে সাহায্য করবে?

এই সময়ের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন আর মিনারেল থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ভিটামিন ডি, ই আর বি6 পিএমএসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ম্যাগনেশিয়ামেরও। মুড ভালো থাকলে শরীরও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই এমন কাজ করুন যা আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। খুব বেশি ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, কফি-চা-মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। গ্রিন টি, আদা দেওয়া চা, তিল খেতে পারেন। 


বিনস, ডাল, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া উচিত নিয়ম করে। দূরে থাকুন খুব বেশি চিনি আর নুন দুটো থেকেই।

No comments: