Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

বাঁধাকপির পাতা তুললেই মিলবে ৬৩ লক্ষ টাকা

 


সবজি তুলে যে এত টাকা আয় করা, তা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারে নি ।যদি কাউকে সবজি তোলার জন্য বছরে ৬৩ লাখ টাকা (বাঁধাকপি বাছাইয়ের জন্য -৬২,৪০০ বেতন) দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কেন আপত্তি করবেন?  যুক্তরাজ্যের একটি কৃষি কোম্পানি সারা বছর ধরে বাঁধাকপি তোলার জন্য কর্মীদের (বাঁধাকপি এবং ব্রকলি বাছাইকারী) মোটা বেতনের প্রস্তাব দিচ্ছে।  এর সাথে আরও কিছু বিষয় আছে, যে কেউ এই কাজের প্রতি আকৃষ্ট হবে।



টি এইচ ক্লিমেন্টস অ্যান্ড সন লিমিটেড কর্তৃক এই চাকরির বিজ্ঞাপন অনলাইনে দেওয়া হয়েছে।  বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে সারা বছর ধরে মাঠ থেকে বাঁধাকপি এবং ব্রকলি তোলার কাজের জন্য, প্রতি ঘন্টায়, ৩০ অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায়, দৈনিক মজুরি ৩০০০ টাকার বেশি হবে।  এক বছরে এই কাজের জন্য, ৬২,৪০০ অর্থাৎ বছরে ৬৩,১১,৬৪১ টাকা এই চাকরির জন্য দেওয়া হচ্ছে।  চাকরির প্রোফাইল হিসেবে বলা হয়েছে যে এটি একটি শারীরিক শ্রমের কাজ, এবং এটি সারা বছরই করতে হয়।



ফিল্ড অপারেটিভরা প্রতি ঘন্টায় ৩০০০ টাকা পাবে

 এই কাজের জন্য অনলাইনে দুটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে।  একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে কোম্পানি বাঁধাকপি তোলার জন্য ফিল্ড অপারেটরদের সন্ধান করছে।  এই কাজটি পিসওয়ার্ক , অর্থাৎ যেসব বাঁধাকপি এবং ব্রকলি ভেঙে গেছে তার সংখ্যা অনুযায়ী আপনি টাকা পাবেন।  এই কাজে প্রতি ঘণ্টায় ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।  এই কাজ সারা বছর চলবে।  মজার ব্যাপার হলো চাকরিতে বেতন প্রতিটি টুকরা অনুযায়ী দেওয়া হবে, অর্থাৎ দিনে বেশি টাকা আয় করার অপশনও খোলা আছে।  যে সবজির সংখ্যা ভাঙা হবে সে অনুযায়ী টাকা কম -বেশি হতে পারে।  যাই হোক , কৃষি কাজে এত বিপুল বেতনের প্রস্তাব নিজেই বেশ হতবাক।



 কম কর্মীর কারণে ভালো বেতন পাচ্ছেন

 

যেহেতু যুক্তরাজ্যে এই সময়ে শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, তাই সরকার মৌসুমী কৃষি কর্মী প্রকল্পের অধীনে মানুষকে এখানে ৬ মাসের জন্য আসার সুযোগ দিচ্ছে, যাতে তারা কৃষির জন্য কাজ করতে পারে।  শুধু কৃষি নয়, দেশের অন্যান্য অনেক খাতে কর্মীদের তীব্র ঘাটতির কারণে এখানে ভালো বেতন দেওয়া হচ্ছে।  চালক থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্পে কর্মরত মানুষদেরও রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি, এমন অবস্থায় তাদের বেতন ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

No comments: