দেখুন ডাক্তারের অবহেলার জন্য কি হল

 

রাজস্থানের জয়সলমিরে ডাক্তারের অবহেলার একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। প্রসবের সময় ডাক্তাররা শিশুর পা এমনভাবে টানেন যে তার দেহ দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। নবজাতকের পা বেরিয়ে আসে কিন্তু অংশ  মাথা গর্ভের ভিতরেই রয়ে যায় শুধু তাই নয়, চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে জয়সলমারে রেফার করেন, যেখানে তাকে যোধপুর পাঠানো হয়। যখন বিষয়টি এখানে প্রকাশ্যে আসে তখন আত্মীয়দের পায়ের নিচে মাটি সরে যায়।

 পুরো ব্যাপারটা

তথ্য অনুযায়ী, দীক্ষা কানওয়ার নামে এক মহিলা তিন দিন আগে প্রসবের জন্য রামগড়ের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।  প্রসবের সময় চিকিৎসকরা নবজাতকের পা এত জোড়ে টানে যে তার শরীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপরে, এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিবারকে না জানিয়ে, মহিলাকে জয়সালমিরে রেফার করা হয়েছিল।

ডঃ রবীন্দ্র শঙ্খলা জানালেন যে, শুধু পায়ের দিক গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল, জয়সলমীরের জওহর হাসপাতালে তাকে জানানো হয়েছিল যে প্রসব হয়েছে, কিন্তু নাভির ভেতরটা রয়ে গেছে। গভীর রাতে যখন নাভিটি সরানোর জন্য অপরেশনের করা হয়, তখন তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি।  পরদিন মহিলাকে যোধপুরে রেফার করা হয়।  যোধপুরের উমেদ হাসপাতালে ডাক্তাররা যখন ডেলিভারি করার চেষ্টা করেন, তখন কেবল গর্ভ থেকে শিশুর মাথা বেরিয়ে আসে।

 ভুক্তভোগীরা নবজাতকের মাথা নিয়ে থানায় পৌঁছায়

 নিহতের পরিবার শিশুটির মাথা নিয়ে থানায় পৌঁছে এফআইআর দায়ের করেছে।  পুলিশ বলছে, চিকিৎসকরা শিশুটির লাশও দিয়েছেন।  শিশুটির শরীরের উভয় অংশের পোস্টমর্টেম করা হবে।  এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেই রামগড় হাসপাতালের মেডিকেল ইনচার্জ ডঃ নিখিল শর্মা স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে মহিলাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল,তখন নবজাতকের পা বাইরে দেখা যাচ্ছিল এবং সে মৃত অবস্থায় ছিল।  হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ -সুবিধার অভাবে ওই মহিলাকে জয়সলমারে রেফার করা হয়।