Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

২০ বছর ধরে প্রস্রাবের মাধ্যমে মল ত্যাগ করছে এই মেয়েটি



 গোরখপুরের মহারাজগঞ্জের এক পরিবারের সদস্যরা তাদের মেয়ের সমস্যা উপেক্ষা করার একটি ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায় ২০ বছর ধরে, নির্যাতিত মেয়েটি প্রস্রাবের মাধ্যমে মল ত্যাগ করে। ২০ বছর ধরে বাবা -মা মেয়ের এই সমস্যা বুঝতে পারেনি। কিন্তু যখন তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তারা তার শারীরিক  চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারল। তদন্তের সময় ডাক্তার জানতে পারলেন যে তার শরীরে কোন মলদ্বার নেই!


মেয়েটি তার এই অবস্থার কথা চিন্তা করে সে হেসে ওঠে। ভেবে দেখুন কতটা কষ্ট পেয়ে বেঁচে ছিল সে। এই শারীরিক যন্ত্রণা তার জীবনকে নরকে পরিণত করেছিল। এই রোগের কারণে মেয়েটি পড়াশোনা বন্ধ করেছিল।সে কোথাও যেতে দ্বিধাগ্রস্ত করত।  অনেক দিন বাবদ মেয়েটি ইউটিআই-তে ভুগছিল বলে এখন তার কিডনিও খারাপ হতে শুরু করেছে। মেয়ের বিয়ে ঠিক করার পর পরিবারের মনে হলো এখন তার চিকিৎসা করানো উচিৎ। প্রায় ছয় মাস আগে তারা তাকে বিআরডি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।


 একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়ের অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা বিস্মিত হয়েছেন।সাধারণত, বাবা -মা তাদের সন্তানদের জন্মের পর এক বা দুই মাসের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করান। জীবনে প্রথমবারের মতো ডাক্তাররা এই বয়সের একজন রোগীকে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে দেখেছিলেন বলে ডাক্তারা জানায়। মেয়েটির শরীরে মলদ্বার ছিল না আর এই রোগের কারণেই তার জরায়ুতেও ছিদ্র ছিল।


মেয়েটির ছয় মাসে তিনটি অপারেশন হয়েছিল। ডাক্তারদের মতে, সব অপারেশন খুব কঠিন ছিল। অপারেশনের পরে একটি নতুন মলদ্বার তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও জরায়ুতে ছিদ্র বন্ধ ছিল,এইজন্য তৃতীয় পর্যায়ের অপারেশন করা হয়। এতে মলমূত্রের বিকল্প পথ বন্ধ করা হয়েছে। অপারেশনের পর মেয়েটি এখন ভালো আছে বলে জানা যায়।


মেয়েটির বাবা বেঙ্গালুরুতে পেইন্ট-পলিশারের কাজ করেন। অজ্ঞতার কারণে, মেয়ের বাবা -মা বিশ্বাস করতেন যে এই সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা। তারা বলেছেন যে তারা জানতেনই না যে তার রোগেরও চিকিৎসা করা যায়।  বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা ভালো আছে এবং এখন তার দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক মানুষের মতই চলছে।

No comments: