Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন কেন অনুভূতিতে আঘাত পেলে ত্বকের ওপরেও প্রভাব পড়ে

 








 কথায় বলে হাসি সুস্থ থাকার ওষুধ। মন ভালো থাকলেও সেটার প্রভাবও পড়ে দেহে। আর নেতিবাচক অনুভূতি ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে।


দীর্ঘদিন মন খারাপ অনুভূতি পুষে রাখা স্থায়ীভাবে ত্বকের ওপরে খারাপ প্রভাব ফেলে ও বয়সের ছাপ আনে।


ভারতের ‘মাসওয়েলনেস ক্লিনিক’য়ের কসমেটিক সার্জন এবং ‘ওয়েলনেস’ বিশেষজ্ঞ, ডা. গীতা গ্রিওয়াল ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, মনের প্রভাবক হচ্ছে ত্বক। মানসিক চাপের বিভিন্ন উপসর্গ ত্বকে ফুটে ওঠে।


বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ কীভাবে ত্বকে প্রভাব ফেলে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।


মানসিক চাপ: বহু বছর ধরেই ত্বকের সঙ্গে মানসিক চাপের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা চলছে এবং এতে দেখা গেছে যে, সচেতনতা ও সঠিক সরঞ্জামের ব্যবহারের মাধ্যমে এর প্রভাব অনেকটা কমানো যায়। অন্যথায় ত্বক সহজেই বুড়িয়ে যায়।


মানসিক চাপ ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা বাড়ায়, যা প্রতিটা অঙ্গ, ধমনী ও কোষের পুনর্গঠনকে ব্যাহত করে।


মানসিকচাপে পড়লে মানুষ চকলেট, নোনতা আলুর চিপ্স ইত্যাদি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অনেকে আবার অ্যালকোহলের দিকে ঝুঁকে এবং কম জল পান করেন। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।



জল স্বল্পতা ত্বকে বলিরেখা ও ভাঁজের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়াও, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ত্বকে ব্রণ, র‍্যাশ ইত্যাদি বাড়ায়।


চাপের কারণে ত্বকের ক্ষুদ্র রক্তনালীতে হাইড্রোজেন ও পুষ্টি সরবারহে বাঁধা সৃষ্টি করে।  তাছাড়া, মানসিক চাপ ত্বকের কোষের জীবনচক্রে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ত্বক নির্জীব হয়ে পড়ে, উজ্জ্বলতা হারায় এবং ছোপ ছোপ ভাব সৃষ্টি করে।


রাগ: ক্রোধ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্রোধ মুখের পেশি দৃঢ় করে ও সূক্ষ্ম রেখা ফুটে উঠে। এছাড়াও এতে ত্বকের আরোগ্য লাভের ক্ষমতা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কমে যায়।


ব্রেইন, বিহেইভিয়র, ইমিউনিটি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন যে রাগান্বিত লোকদের কোষের নিরাময় ও পুনর্গঠনের মাত্রা সাধারণভাবে যারা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে তাদের চেয়ে চারগুণ বেশি সময় নিয়েছিল।


যারা রাগ বেশি করে তাদের কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাঁধা প্রাপ্ত হয়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দ্রুত পড়ে।


বিষণ্নতা: ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে। দুশ্চিন্তা ত্বকে দুঃখ ও মলিনভাব আনে।



দীর্ঘমেয়াদে বিষণ্নতায় ভুগলে ত্বকে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কারণ এর রাসায়নিক যৌগ  দেহের কোষের প্রদাহ মেরামত করতে বাধা দেয়।


এই হরমোনগুলো ঘুমকে প্রভাবিত করে, চোখের চারপাশে কালচে ও ফোলাভাবের সৃষ্টি করে এবং চোখ মলিন দেখায়।


ভয়: ভয় বা বিপদে পড়লে মস্তিষ্কের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ‘অ্যাড্রিনাল’ গ্রন্থিতে এপিনেফ্রিন হরমোনের সংকেত দেয়। এতে হৃদগতি বৃদ্ধি পায়, পেশিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।


অনেক সময় ‘অ্যাড্রেনালিন’ ত্বক ও মুখ থেকে রক্তের কিছুটা সরিয়ে নিয়ে যায় এবং আহত হলে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করতে ত্বকের রক্তনালীগুলোকে সীমাবদ্ধ করে।

তাই ভয় পেলে দেখতে ফ্যাকাশে ও নির্জীব লাগে।


পরিত্রাণের উপায়


নেতিবাচক মেজাজ থেকে বের হয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলা উচিত।


নিজেকে আর্দ্র রাখতে জল পান করা, অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা  উচিত।


তাছাড়া যতটা সম্ভব নেতিবাচক মানসিকতার সঙ্গ ত্যাগ করা ও শরীরচর্চা ইত্যাদি সুখী হরমোন বাড়ায় ও দুঃখের অনুভূতি কমায়।

No comments: