Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

কখনও শুনেছেন টি ট্রি তেলের কথা? আছে বিষ্ময়কর গুণাগুণ

 





অনেকেই জানে গাছটা চা–গাছ। আর সেই গাছ থেকে আহরিত তেল। বাস্তবে সেটা নয়। তবে জেমস কুক সাহেবের বদৌলতে নামটা রয়ে গেছে। তবে নামে যেটাই হোক এই তেলের গুণাগুণ বিস্ময়কর।


বর্তমানের সৌন্দর্যচর্চায় খুব পরিচিত একটি উপাদান টি ট্রি অয়েল। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সৌন্দর্যসচেতন মানুষদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এটি। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানে অনেকেই আসলে জানেন না এ তেলের উৎস টি। বেশির ভাগ মানুষ একে চা–গাছ হতে সংগৃহীত তেল মনে করেন। টি ট্রি অয়েলের আক্ষরিক অর্থ ‘চা–গাছের তেল’ হলেও আদতে এর সঙ্গে চায়ের কোনো সম্পর্ক নেই।




শুষ্ক ত্বক ও একজিমা


শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা আর নিষ্প্রাণ ভাব দূর করতে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকে একজিমার মতো চর্মরোগের প্রবণতা দেখা দেয় বেশি। সে ক্ষেত্রে এ তেল ম্যাজিকের মতো কাজ করে। একটি মেডিসিন রিপোর্টে বলা হয়, একজিমা সারাতে টি ট্রি তেল জিংক অক্সাইড এবং ক্লোবেটাসোন বিউটারেটের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা ত্বকের জন্য উপকারী এমন ক্যারিয়ার অয়েলের (জলপাই, নারকেল, আমন্ড) সঙ্গে মিশিয়ে এটি মুখে বা আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। এখানে মনে রাখতে হবে, প্রতি ১০ থেকে ১২ ফোঁটা ক্যারিয়ার অয়েলের বিপরীতে মাত্র ২ থেকে ৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মেশাতে হবে।


তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণ


অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যের জন্য ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। পাশাপাশি ব্রণের বংশ নির্বংশ করতে এর কোনো তুলনা হয় না। এ জন্য ব্রণনাশক বিভিন্ন পণ্যের প্রধান উপাদান হিসেবে এর ব্যবহার বেশ দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালে করা একটি ছোট গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যারা সানস্ক্রিনের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করেছে তাদের ত্বকের তৈলাক্তটা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। তৈলাক্ততা আর ব্রণ কমানোর জন্য এ তেল টোনার, ময়েশ্চারাইজার, ক্যারিয়ার তেল এমনকি ফেসওয়াশের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। খুব বেশি নয়। মাত্র দুই-তিন ফোঁটাই যথেষ্ট।রোদের পোড়াভাব এবং দাগ–ছোপ কমাতে

টি ট্রি অয়েল এ দুটি সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপকারী। এ জন্য দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল বা টমেটোর রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মুখে মাখুন। আর দাগ–ছোপ যদি বেশ পুরোনো এবং শক্ত হয়ে থাকে তাহলে এ দুটি মিশ্রণের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন।


উকুনের সমস্যায়


চুলের উকুনের মতো মারাত্মক সমস্যার দাওয়াই হিসেবে এ তেল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে চার-পাঁচ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার আগে তোয়ালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। সপ্তাহে দুই দিন এ পদ্ধতি অবলম্বন করে উকুনের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


খুশকি দূর করতে


স্কাল্পে খুশকি হলে শ্যাম্পু করার আগে এর সঙ্গে দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। আর চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন খুশকিনাশক হেয়ার মিস্ট। এটি বানাতে লাগবে ৫০০ মিলি পানির সাথে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস আর চার ফোঁটা টি ট্রি অয়েল। স্কাল্পে যেখানে খুশকি হয়েছে সেখানে এ মিশ্রণটি স্প্রে করে লাগিয়ে রাখুন ৪৫ মিনিট। এভাবে খুব দ্রুত খুশকি দূর হবে।

No comments: