ঝাঁসি দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন অগ্নিমিত্রা পাল, বললেন- 'সিএম যোগীর শাসনে ঠিক বিচার পাবে পরিবারের লোকেরা'

 পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা অগ্নিমিত্রা পাল ঝাঁসির মেডিকেল কলেজে দুর্ঘটনায় 10 নবজাতকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।  শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক।  এ ক্ষেত্রে তদন্তের পর দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “ঝাঁসির ঘটনা দুঃখজনক।  প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং সিএম যোগীর শাসনে দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হবে।  এই দুঃসময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।  কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারও ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে।  ঝাঁসি দুর্ঘটনার কারণ কী, তা তদন্তের পর জানা যাবে।”

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করলেন অগ্নিমিত্রা পল।  তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক কথা বলেছেন, তিনি সব জানেন।  1941 সালে গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান, কিন্তু মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন যে 1947 সালে তিনি কলকাতার বেলিয়াঘাটায় মহাত্মা গান্ধীকে ফলের রস দিয়েছিলেন।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই কথা বলে থাকেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন যে অলিম্পিকে ভারত কোনো স্বর্ণপদক পায়নি, তাই আমাদের এটাকে সত্য বলে মেনে নিতে হবে।”

তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রশ্ন তোলেন তিনি।  তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের অধীনে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।  2021 সালের নির্বাচনের পরে, যখন 60 জন বিজেপি কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তখন NHRC এসে বলেছিল যে এখানে আইনের শাসন নেই, কেবল প্রশাসনের শাসন আছে।  গতকাল (শুক্রবার)ও আমরা দেখেছি তৃণমূলের গুন্ডারা তাদের কাউন্সিলরকে খুন করছে।  যাদের সাথে নিরাপত্তা ও পুলিশ আছে তাদেরই আজ এই অবস্থা।  তাহলে বাংলায় সাধারণ মানুষ কী নিরাপত্তা পাবে?  তাদের মধ্যে আর কোনো ভয় অবশিষ্ট নেই।”

তিনি বলেন, পুলিশের কাজ হল গুন্ডা, চোর ও খুনি ধরা, কিন্তু এখানে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট যন্ত্রের অংশ।  2026 সালে রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা এবং তার আগে, এমন লোকদের নিয়োগ করা হয়েছে যারা বুথ দখল করবে এবং বিজেপি নেতাদের হুমকি দেবে।  রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ।”