শীতের শুরু থেকেই এই মিষ্টি জিনিস খেতে শুরু করুণ, দেশীয় ঔষধের মতো কাজ করবে

 শীতের মৌসুম এলেই মানুষ গুড় খাওয়া শুরু করে।  এটা বিশ্বাস করা হয় যে শীতকালে চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক আশ্চর্যজনক উপকার দিতে পারে।  গুড় স্বাদে মিষ্টি এবং এতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।  এটি সেবন করলে শীতকালে শরীরে উষ্ণতা পাওয়া যায় এবং মৌসুমী ফ্লু থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।  গুড় আয়রন, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস, যা শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকার করতে পারে।  আসুন জেনে নিই শীতে গুড় খাওয়ার বড় উপকারিতা।

শীতকালে শরীরের অতিরিক্ত শক্তি এবং উষ্ণতার প্রয়োজন হয় এবং গুড় এটির সেরা উত্স।  গুড় খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে।  বিশেষ করে শীতের মৌসুমে গুড় খাওয়া শুধু স্বাদই বাড়ায় না, এটি শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।  তাজা আদার সাথে গুড় খেলে এর প্রভাব আরও বাড়ে, যা ঠান্ডায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে।  গুড় আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

প্রোটিন, ভিটামিন B12, B6, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো অনেক ধরনের খনিজ গুড়ের মধ্যে পাওয়া যায়।  এ ছাড়া গুড়ের মধ্যে কোনো চর্বি নেই।  যার কারণে গুড় ওজন কমাতে এবং রক্ত, হাড় ও পেশী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পিরিয়ডের ব্যথা-

পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে গুড় সাহায্য করে।  এটি নিয়মিত সেবন একজন ব্যক্তির মেজাজ উন্নত করে।  এর কারণ হল গুড় এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে যা শরীরকে আরাম দেয়।  প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের লক্ষণ এড়াতে প্রতিদিন এক টুকরো গুড় খাওয়া উচিত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা-

গুড়ের মধ্যে উপস্থিত জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজগুলি ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।  যার কারণে ইনফেকশনের মতো সমস্যা শরীরে বিরক্ত হয় না।  এ ছাড়া গুড় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য-

গুড় হজমকারী এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে যাতে ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন না।  এটি মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে এবং পাকস্থলীতে মল জমতে বাধা দেয়।  নিয়মিত খাবারের পর এক টুকরো গুড় খেলে হজমশক্তি ভালো হয় এবং খাবার সহজে হজম হয়।

হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়-

গুড় খেলে হজমের সমস্যা ভালো হয়।  এই জন্য, খাওয়ার পরে এক টুকরো গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।