প্রতিদিন বড়দের পা স্পর্শ করলে আয়ু, জ্ঞান, যশ ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গ্রহ দোষ কেটে যায়
হিন্দু ধর্মে পা ছোঁয়ার প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। সাধু, গুরু এবং পুরোহিতদের শিষ্যরা কেবল তাদের পা স্পর্শ করেন না, শ্রদ্ধার সাথে প্রণামও করেন। তবে বর্তমান সময়ে পা ছোঁয়ার রেওয়াজ কমে যাচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ হাত জোড় করে বা নমস্তে বলে অভিবাদন জানায়। শাস্ত্র মতে পা ছুঁলে মানুষের অনেক উপকার হয়। এটি শুধুমাত্র রাশিফলের গ্রহগুলির অবস্থানকে শক্তিশালী করে না, পিতৃদোষ থেকেও মুক্তি দেয়।
আজকের কালচক্রে, পণ্ডিত সুরেশ পান্ডে আপনাকে চরণ স্পর্শের উপকারিতা সম্পর্কে বিশদভাবে বলতে চলেছেন, অর্থাৎ পা স্পর্শ করা। এর সাথে পা ছোঁয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
পা স্পর্শ করলে কি হয়?
শরীরের চারপাশে একটি আভা আছে। প্রতিটি মানুষের আভায় আলাদা শক্তি এবং ভিন্ন রঙ থাকে। পা স্পর্শ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সামনে থাকা ব্যক্তির আভা থেকে এই শক্তিগুলিকে শোষণ করি। যা আমাদের মন ও মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের আভাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে, যা আমাদের নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্ত করে।
পা স্পর্শ করার সময়, একজনকে সর্বদা উভয় হাত দিয়ে উভয় পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করা উচিত, কারণ এই শক্তি শুধুমাত্র পায়ের আঙ্গুলেই প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এ ছাড়া কখনোই এক হাত দিয়ে পা স্পর্শ করা উচিত নয়।
পা স্পর্শ করার উপকারিতা
যখনই কেউ আমাদের পা স্পর্শ করে, সেই সময় ভগবানের নাম নিলে পা স্পর্শ করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়।
আশীর্বাদ করলে চরণ স্পর্শ করলে মানুষের সমস্যা দূর হয়। এর সাথে, বয়স বৃদ্ধি এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি।
যারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের কথা মাথায় রেখে তাদের বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে আরও শক্তি পায়।
যে ব্যক্তির কাজ ভাল নয় তার পা স্পর্শ করা উচিত নয়। এই ধরনের ব্যক্তির পা স্পর্শ করলে অরা শক্তি দুর্বল হয়ে যায়।
আমরা যখন কোনো মানুষের পা স্পর্শ করি তখন তার শরীরের ইতিবাচক শক্তি আমাদের শরীরে ভালো প্রভাব ফেলে। তাই বলা হয়, প্রতিদিন বড়দের পা স্পর্শ করলে বয়স, জ্ঞান, যশ ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
যাদের রাশিতে সূর্য দুর্বল তাদের পিতার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকে না। এমতাবস্থায় তাদের প্রতিদিন বাবা ও বড়দের পা ছুঁয়ে দেখা উচিত। এটি রাশিতে সূর্যের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে, যা পিতার সাথে সম্পর্ককে মজবুত করবে।
নারীদের পা স্পর্শ করলে কুণ্ডলীতে বুধের অবস্থান শক্তিশালী হয়।
বড় ভাই বা বোনের পা স্পর্শ করলে মঙ্গলের অবস্থান মজবুত হয়।
ত্রয়োদশীর দিন ভগবান শিব বা মা দুর্গার চরণ স্পর্শ করলে পিতৃদোষের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যাদের জন্মপত্রিকায় শুক্রের অবস্থান দুর্বল তারা জীবনে সফলতা পান না। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়ার আগে মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করা উচিৎ ।
Labels:
health
No comments: