দেরিতে ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এই ৬টি সমস্যা শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে
আজকের লাইফস্টাইলে ঘুমের অভাব সাধারণ হয়ে উঠছে। লোকেরা সারা রাত তাদের ফোন ব্যবহার করে, বন্ধুদের সাথে কথা বলে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্ক্রোল করে, রিল এবং শর্ট ভিডিও দেখছে, যা তাদের ঘুমকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। রাত ১২টার আগে না ঘুমানো একটা প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সাথে, লোকেদের পরের দিন সকালে কলেজ বা অফিসের জন্য রওনা দিতে হয়, যার কারণে ভোরে উঠতে বাধ্য হয়। কিন্তু, প্রতিদিন পূর্ণ ঘুম না হওয়া এবং অর্ধেক ঘুমে দিন কাটানো (Sleep Deprivation) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই অভ্যাসের কারণে, শরীর কেবল অভ্যন্তরীণ নয়, বাহ্যিকভাবেও প্রভাবিত হয়। এখানে জেনে নিন ঘুমের অভাব স্বাস্থ্যের জন্য কী কী ক্ষতি করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে
ঘুমের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। যদি একজন ব্যক্তি পর্যাপ্ত ঘুম না পান, তবে তিনি সংক্রমণ এবং রোগের প্রবণ হয়ে পড়েন। ঘুমের অভাবের কারণে, একজন ব্যক্তি দ্রুত শ্বাসকষ্টের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে
ঘুমের অভাব কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্তচাপ প্রভাবিত হয়, চিনির মাত্রা কমে যায়, প্রদাহ হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ওজন বাড়তে পারে
ঘুমের অভাব ক্ষুধার হরমোনকে প্রভাবিত করে যা ইনসুলিনকেও প্রভাবিত করে। এটি শরীরে চর্বি সঞ্চয় বাড়াতে পারে। একজন মানুষ প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না করলে তার ওজন বাড়তে থাকে।
মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে
ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের অবনতিতেও অবদান রাখতে পারে। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের অনেক অংশকে প্রভাবিত করে। এই কারণে, ব্যক্তি জিনিসগুলি মনে রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং এটি শেখার প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। এই কারণে, ব্যক্তির মনোনিবেশ করতেও অসুবিধা হতে শুরু করে।
ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়
একজন মানুষ পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে তার ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে। এ কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন মানুষ হঠাৎ করে যে কোন জায়গায় পড়ে যেতে পারে।
মেজাজ খারাপ থাকে
ঘুমের অভাবও একজন ব্যক্তির মেজাজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এই কারণে, একজন ব্যক্তি কখনও কখনও বেশি আবেগপ্রবণ, কখনও খিটখিটে, কখনও কখনও রাগান্বিত এবং কখনও কখনও উদ্বিগ্নও হতে পারে। এছাড়া এ ধরনের মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণও দেখা যায়।
Labels:
health
No comments: