এই সবুজ পাতা শীতের সুপারফুড, এটি পুষ্টির ভান্ডার, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন।
শীত মৌসুমে সবুজ শাকসবজি সুপার ফুডের চেয়ে কম নয়। সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালং শাকের নাম অবশ্যই রয়েছে। এটি বার্গার এবং স্যান্ডউইচ তৈরিতে এবং পনির এবং সবজি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। পালং শাকের সবুজ পাতাও শরীরের জন্য খুবই উপকারী, চিকিৎসকদের মতে এটি একটি সুপার ফুড।
শীতে পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালে পালং শাক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই সবুজ শাকটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং শীতের মৌসুমে রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ মনীশ শর্মা বলেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে
চিকিৎসক জানান, শীতে শরীরে বাড়তি শক্তির প্রয়োজন হয় পালং শাকে আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরে ক্লান্তি দূর করে শক্তি যোগায়। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে, যা হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
পালং শাক বেশি সেদ্ধ করবেন না
ডাঃ মনীশ শর্মা বলেছেন যে পালং শাক স্যুপ, সবজি, পরাঠা, জুস বা সালাদ আকারে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া পালং শাক বেশি সেদ্ধ করবেন না, কারণ এটি এর পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে। যারা প্রতিদিন জিম করেন এবং ব্যায়াম করেন তারা অবশ্যই পালং শাক খান। এটি শরীরে শক্তি যোগায়। পালকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়। স্থূলতা কমাতে ফাইবার খুবই সহায়ক।
পালং শাক কিভাবে ব্যবহার করবেন
পালং শাক বিভিন্ন খাবার এবং ঘরোয়া প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়। মূলত আলু, পনির বা ভুট্টার সাথে পালং শাক মিশিয়ে তৈরি করা হয় সবজি। শীতে শরীরে উষ্ণতা ও পুষ্টি যোগাতে পালং শাকের স্যুপ উপকারী। এ ছাড়া এটি আদা, রসুন ও মশলা দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। কাঁচা পালং শাক ধুয়ে সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পালং শাকের রস আয়রন ও ভিটামিন জোগাবে
এটি অন্যান্য সবজি, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পালং শাকের জুস বানিয়ে পান করলে শরীর ভিটামিন ও আয়রন পায়। ময়দার সাথে পালং শাক মিশিয়ে তৈরি করা হয় পরোটা বা থেপলা। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু। এর পাতা বেসনে ডুবিয়ে কুঁচি পাকোড়া তৈরি করা যায়। পাকোড়া বা টিক্কি অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা যায়। "পালক ডাল" ডালের সাথে পালং শাক মিশিয়ে তৈরি করা হয়, যা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
Labels:
health
No comments: