মাড়ির রোগ হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আজই সতর্ক হোন
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মাড়ির রোগের (পায়োরিয়া) ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্যদিকে, মাড়ির রোগও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তোলে।
মাড়ির রোগে মাড়ি ফুলে যায় এবং পুঁজ বের হতে পারে। এ কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মে।
এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে রক্তের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
এই প্রদাহ শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাড়ি ক্ষয় এবং হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক
মাড়ির রোগের সঠিক চিকিৎসা না হলে মুখে ক্রমাগত ফোলাভাব দেখা দেয়। এই প্রদাহ রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মাড়ির রোগ থেকে মৌখিক ব্যাকটেরিয়া রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং ধমনীতে প্লাক জমাতে অবদান রাখতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কীভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন? কীভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন?
এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একটি মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেই কিছু সহজ উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার দাঁতের যত্ন নিতে পারেন এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন:
দিনে দুবার ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করুন:
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা জরুরি। দুই মিনিট ভালো করে ব্রাশ করুন, বিশেষ করে দাঁতের মাঝখানের জায়গাটা।
প্রতিদিন ফ্লস করুন: প্রতিদিন ফ্লস করুন
ব্রাশ করার পর ফ্লস করলে দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবারের টুকরো এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান: নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান
বছরে অন্তত দুবার চেকআপের জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যান। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে যেকোনো ধরনের সমস্যা ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা করা যাবে।
মিষ্টি ও টক কম খান
অত্যধিক মিষ্টি এবং টক খাওয়ার ফলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যতটা সম্ভব মিষ্টি খাবার খান এবং খাওয়ার পর মুখ পরিষ্কার করুন।
ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য খান: ফল, সবজি এবং গোটা শস্য খান
এই জিনিসগুলো পুষ্টিতে ভরপুর এবং মাড়ি মজবুত করে। আপনার দাঁতের যত্ন নেওয়া আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর মুখ আপনাকে শুধু ভালো নিঃশ্বাসই দেয় না কিন্তু ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। তাই প্রতিদিন ব্রাশ, ফ্লস এবং ডেন্টিস্টের কাছে যান। একটি সুস্থ মুখ একটি সুস্থ শরীরের শুরু!
No comments: