গর্ভনিরোধক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন

 

যখন ১৯৬০ সালে মৌখিকভাবে গর্ভনিরোধক ঔষধ চালু করা হয়েছিল, তখন মহিলারা এতে খুব খুশি হয়েছিলেন, কারণ তারা অনুভব করেছিলেন যে গর্ভবতী না হওয়াটা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তুু পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায় যে প্রতিবছর ভারতে ১.৫ কোটিরও বেশি মহিলার গর্ভপাত হয় এবং এই মহিলাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খান।

গর্ভনিরোধক পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

 বমি বমি ভাব বা বমি, মাথাব্যথা এবং মাথাধরা এর সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

গবেষণায় আরও জানা গেছে, যে মহিলারা গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়েছিলেন তারাও হতাশায় ভুগছিলেন।

কিছু মহিলাদের মধ্যে, পিরিয়ডের সময় ভারী রক্তপাত বা পিরিয়ডের বর্ধিত সময়ের (৬-৭ দিনের জন্য রক্তপাত) সমস্যাও হয়েছিল।

 ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যাও বলা যেতে পারে। 

এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

গর্ভনিরোধক ঔষধগুলি মোটেই মোটা, ডায়াবেটিক এবং ধূমপানকারী মহিলাদের ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ধরণের ওষুধ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবন করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

মনে রাখবেন যে মৌখিক গর্ভনিরোধক বড়ি শুধুমাত্র গর্ভাবস্থা রোধে সহায়ক, যৌন সংক্রমণ নয়।পূর্বধারণাই এর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান।

ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

যখনই আপনি গর্ভবতী হতে চান, বড়ি খাওয়া বন্ধ করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যাতে শরীর সঠিক পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি পায়।

পরিবারে রক্ত ​​জমাট বাঁধার ইতিহাস থাকলেও বড়ি খাবেন না। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা থাকলেও বড়ি খাবেন না।

চিকিৎসকদের মতে, যে কোনো অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে, যেখানে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নগণ্য, এমন পরিস্থিতিতেও ওসিপি বা মৌখিক গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণ করবেন না।