Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন, পিঠই ব্যথা হলে কি করবেন


আজকাল অনেকেই ঘাড় ও পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। এটি আজ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ অন্য প্রত্যেক ব্যক্তি অবশ্যই ঘাড় বা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। প্রতিটি হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও ক্লিনিকে ঘাড় ও কোমর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে জানা যায়, এ রোগ দ্রুত ডানা বিস্তার করছে। ঘাড় এবং পিঠে ব্যথা হয় ভুল ভঙ্গি বা বয়স বৃদ্ধির কারণে শরীরের পরিবর্তনের কারণে।


অস্টিওপোরোসিস:-


 বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ে সেই উপাদানের অভাব দেখা দেয়, যার কারণে হাড়ের নমনীয়তা থাকে। এতে মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও, প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ যেমন হাঁটা, হালকা ওজন তোলা বা শরীর মোচড়ানোর ফলে শরীরে ছোটখাটো ফ্র্যাকচার হতে পারে যা সাধারণত সনাক্ত করা যায় না। পরবর্তীতে এই সব কারণ পিঠে ব্যথার জন্ম দেয়।


স্পন্ডাইলাইটিস:- 


বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেরুদন্ডের (স্পাইনাল কর্ড) এবং হাল্কা জয়েন্টের মধ্যে ডিস্ক ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পিঠে ব্যথা শুরু হয়। ভারী ওজন তোলা বা একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পিঠের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। অনেকক্ষণ বিশ্রামে থাকলে বা সকালে ঘুম থেকে উঠলে পিঠে ব্যথার রোগী পিঠে শক্ত ভাব অনুভব করলেও রোগী ঘুমের কোনো সমস্যা অনুভব করেন না।


শরীরের অতিরিক্ত ওজন, শরীরকে ভুল অবস্থানে রাখা, অস্বস্তিকর আসবাব ও বিছানার কারণে কোমর ব্যথা বাড়ে। ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, মর্নিং ওয়াক, সাঁতার, বসা-বসা পদ্ধতির পরিবর্তন, সোজা ও সমতল বিছানা ব্যবহার এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে পিঠের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পিঠে ব্যথা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না।


মেনোপজের সময় বা পরে মহিলাদের অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মেনোপজের পর তাদের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যা অস্টিওপোরোসিস হতে সাহায্য করে।


মহিলারা সময়ে সময়ে নিজেদের পরীক্ষা করে এই সমস্যা এড়াতে পারেন। অস্টিওপরোসিস শনাক্ত করার জন্য আজ অনেক ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি রয়েছে। আজ এমন কিছু ওষুধ তৈরি করা হয়েছে যার দ্বারা এটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ক্রমাগত সক্রিয় থাকার মাধ্যমেও এই সমস্যা এড়ানো যায়।


যদি পিঠে ব্যথা ক্রমাগত এবং খুব বেদনাদায়ক হয়, সাথে জ্বর, ক্ষুধামন্দা বা ঘুমানোর সময় ব্যথা হয় তবে এর চিকিত্সায় দেরি করা উচিত নয় কারণ এই ব্যথা টিবি, ক্যান্সার বা গুরুতর রোগের কারণে হতে পারে। myeloma মত। যদি পিঠে ব্যথা একটানা 15 দিনের বেশি চলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


ডিস্ক বাইরে থেকে শক্ত এবং ভিতরে থেকে নরম। এটি শরীরকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এবং কোমরকে নমনীয় করে তোলে। কখনও কখনও এর বাইরের শক্ত অংশ বিকৃত হয়ে যায় এবং জেলির মতো পদার্থ মেরুদণ্ডের কলামের ভিতরের স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। এই অবস্থাকে স্লিপড ডিস্ক বলা হয়। এতে ব্যথা কোমর থেকে শুরু হয়ে পায়ের দিকে চলে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব করতেও অসুবিধা হয়। পায়ে দুর্বলতা আছে। স্লিপ ডিস্কের 90% রোগী বিশ্রাম এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে এবং মাত্র 10% অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।

প্র ভ

No comments: