ডায়াবেটিস রোগীরা এভাবেও চিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন
ডায়াবেটিস ভারতে একটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সমস্যা, যা সরাসরি আমাদের খারাপ খাদ্য এবং নষ্ট জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত। তবে এই সমস্যা এড়ানো যায় যদি আপনার খাদ্যতালিকায় চিনির পরিমাণ প্রথম থেকেই কম রাখা হয়।
খাদ্যতালিকায় চিনির পরিমাণ কমাতে শুধু খাবারের দিকেই মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন নয়, এর সঙ্গে ব্যায়ামও করা দরকার।
জেনে নিন এই সম্পর্কিত কিছু টিপস...
কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণে রাখুন
কার্বোহাইড্রেট আছে এমন জিনিসগুলিতেও চিনি থাকে। ভাত এবং রুটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার কারণে চিনি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভাত এবং রুটি ভারতীয় খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমরা এটি খাওয়া বন্ধ করতে পারি না। যাইহোক, তারা অবশ্যই হ্রাস করা যেতে পারে। আপনি যদি প্রতিদিন ছয় থেকে সাতটি রুটি খান তবে তা কমিয়ে তিন-চারটি করুন।
ডায়েটে ডিমকে স্থান দিন
ডায়েটে ডিমকে স্থান দিন। তারা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সুবিধা পায়। ডিমে প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ফলের মধ্যেও চিনি থাকে
সব ফলতেই চিনি থাকে। আম, কলা, আপেল ইত্যাদি ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় সালাদ এবং এ জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। ব্যায়াম সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই যোগব্যায়াম, কার্ডিও, দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং সাঁতার কাটা উচিত।
চা বা কফি দিয়ে দিন শুরু করবেন না। এর ফলে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মৌরি, তিসি এবং ভেষজ চা খাওয়া উপকারী। সকালের নাস্তায় ওটমিল, ওটমিল, সবজি এবং এক বাটি ফল খান। সেদ্ধ ডিম, মুরগির মাংস এবং স্যামন মাছ খান। জাঙ্ক ফুড খাবেন না।
সবুজ শাকসবজি খেতে হবে
আমাদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পালং শাক, মেথি, শাক, ব্রকলি, করলা, তারোই ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন। এগুলোতে ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি।
সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এগুলো খেলে হার্ট ও চোখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। ভিটামিন-সি সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়, যা শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্র ভ
No comments: