সবচেয়ে উপকারী স্বাস্থ্যের পক্ষে কখন ডিম খাওয়া জেনে নিন
ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় সকালের জলখাবার করার সময়। এছাড়াও, ডিম কাঁচা খাওয়ার চেয়ে রান্না করা ভাল।
কারণ ডিম যখন সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা হয়, তখন এতে থাকা বিচ্ছিন্ন প্রোটিনগুলি একত্রে জমে যায়, যা আপনার পাকস্থলীর পক্ষে সহজে হজম হয়।
ডিম পুষ্টিকর খাবারের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন, ফোলেট, বায়োটিন, ভিটামিন ডি, সোডিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর পাশাপাশি, সঠিক উপায়ে ডিম খাওয়া ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাস উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী।
অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি সঠিক উপায়ে ডিম না খান তবে আপনি এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন উপায়ে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কীকী?
উপকারিতা:
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে:
শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ডিম খাওয়া উপকারী হতে পারে।
ফসফেটাইডস এবং ওমেগা-৩ অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে ডিম খাওয়া শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকারী। শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন তেলে তৈরি ডিমের অমলেট কোলেস্টেরল কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সকালের জলখাবারে সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন।
চোখের জন্য স্বাস্থ্যকর:
চোখ আমাদের শরীরের সেই মূল্যবান অঙ্গ, যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে পাই। চোখ না থাকলে আমাদের জীবন অন্ধকার হয়ে যেত।
প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া চোখ সুস্থ রাখতে উপকারী হতে পারে। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি আপনার চোখের পেশির জন্য খুবই উপকারী।
মজবুত হাড়ের জন্য:
আজকাল বয়সের আগেই অনেকেরই হাড়ের সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ডিম খাওয়া মজবুত হাড়ের জন্য উপকারী হতে পারে।
কারণ ডিমে ভিটামিন ডি থাকে যা হাড়ের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও প্রতিদিন ডিম খেলে এতে উপস্থিত ভিটামিন-ডি শরীরে সূর্যের রশ্মি শুষে নিতে সাহায্য করে, যা হাড়কে মজবুত করে।
No comments: