জেনে নিন, কীভাবে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করবেন
আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো শরীরের কার্যকারিতার জন্য জিঙ্কও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।অনাক্রম্যতা, ত্বক এবং ক্ষত নিরাময়ে জিঙ্ক খুবই কার্যকরী। এটি যেমন সুগার নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি হার্টের স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেয়।জিঙ্ক ত্বক ও চুলের জন্যও অপরিহার্য।
শরীরে জিঙ্ক নিজে থেকে তৈরি হয় না, তবে এর ঘাটতি পূরণের জন্য জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। জিঙ্কের অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
জেনে নিই শরীরে জিঙ্কের ঘাটতির লক্ষণগুলো কী কী এবং এর ঘাটতি পূরণে খাদ্যতালিকায় কী কী জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
জিঙ্কের ঘাটতির লক্ষণ:
ওজন হ্রাস, দুর্বল বোধ, ক্ষুধা হ্রাস, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব, স্বাদ এবং গন্ধ হ্রাস, ঘন ঘন ডায়রিয়া এবং চুল পড়া, ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব হওয়া।
জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে ডায়েট করুন
মাশরুম খাওয়া:
জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে খাবারে মাশরুম রাখুন। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ মাশরুম জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।মাশরুম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চিনাবাদাম জিঙ্কের সেরা উৎস:
আয়রন, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ চিনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, যা শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করে।
খাদ্যতালিকায় তিল রাখুন:
তিলের বীজকে জিঙ্কের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফলিক অ্যাসিড এবং বি কমপ্লেক্স রয়েছে।শীতকালে তিল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
ডিম খান:
জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে ডায়েটে ডিমের হলুদ অংশ রাখুন। ডিমের কুসুম জিঙ্ক সমৃদ্ধ।ডিমের কুসুমে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি১২, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং ফসফরাসের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দই খান:
দই যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি হজমশক্তিও শক্তিশালী করে। দইয়ে জিঙ্ক থাকে, যা পেটকে সুস্থ রাখে।
রসুন জিঙ্কের জন্যও প্রয়োজনীয়:
শরীরে জিঙ্কের অভাব থাকলে প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়া উচিত। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ রসুনে ভিটামিন এ, বি এবং সি, আয়োডিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনাকে সুস্থ রাখে।
প্র ভ
No comments: