জানেন কি ক্যান্সারকে দূর করতে হলুদ কতটা উপকারী

লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারের শিকার হলেও হলুদ খেলে এই মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, যা এড়াতে প্রায়ই হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  ত্বকের সৌন্দর্যায়ন থেকে শুরু করে ঠাণ্ডা-সর্দি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্থূলতার চিকিৎসায়ও এই মসলা ব্যবহার করা হয়। 

হলুদ আমাদের খাবারের স্বাদ এবং রঙ দুটোই বাড়ায়।  সব মিলিয়ে হলুদ আমাদের রান্নাঘরের একটি মেডিক্যাল স্টোরের মতো।  সেই কারণেই উপকারী হলুদ রান্নাতে প্রচুর ব্যবহৃত হয়।

 হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:

হলুদকে শুভ বলে মনে করা হয়। আমাদের পৌরাণিক গ্রন্থে, হলুদকে জীবন রক্ষাকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং আপনি যদি হলুদ ব্যবহার করেন, তবে এর 'আয়ুর্বেদিক শক্তি' সহ আপনার সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়:

 ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হলুদের ক্ষমতা কয়েক বছর আগে বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল।  ক্যান্সার বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই হলুদ অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনি শক্তভাবে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন।

 উপকারিতা:

 কারকিউমিন, হলুদে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া একটি রাসায়নিক উপাদান।  এই উপাদানটির ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।  প্রায়শই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে, ক্যান্সার অস্ত্রোপচারের পরেও ফিরে আসে কারণ শরীরের কিছু অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষও আবার রোগ বাড়াতে পারে।  কিন্তু এখন অস্ত্রোপচারের পর কারকিউমিনের তৈরি স্কিন প্যাক শরীরের ওই অংশে লাগানো যেতে পারে।

 ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে:

 ত্বকে কারকিউমিন প্রয়োগ করার পর, এই প্যাচটি শরীরের সেই অংশগুলিতে উপস্থিত ক্যান্সার কোষগুলিকে নির্মূল করবে তবে এটি সুস্থ কোষগুলির কোনও ক্ষতি করবে না।  এতে শরীরের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।

 প্রতিদিনের খাবারে হলুদ অন্তর্ভুক্ত করুন:

 সারা বিশ্বে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি,  শুধু ক্যানসার নয়, নিয়মিত হলুদ খেলে আরও অনেক রোগ এড়ানো যায়।