ওজন হটাৎ কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়া এই রোগের লক্ষণ হতে পারে

থাইরয়েডের প্রতিকার : যদি আপনার ওজন ক্রমাগত বাড়তে থাকে বা কমতে থাকে, তবে এটি আপনার জন্য বিপদের ব্যাপার হতে পারে, কারণ এটি থাইরয়েডের লক্ষণ হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা আজকাল একটা সাধারণ ব্যাপার। বেশিরভাগ মানুষ তাদের খারাপ জীবনযাত্রার কারণে থাইরয়েডের শিকার হচ্ছেন।

চিকিৎসকরা এর লক্ষণগুলিকে নীরব ঘাতক হিসাবে বিবেচনা করেন কারণ বেশিরভাগ লোকেরা এটি সম্পর্কে তখনই জানতে পারে যখন এই রোগ তাদের সম্পূর্ণরূপে ধরে নেয়।থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন নয়, জীবনযাত্রায় কিছু সাধারণ পরিবর্তন করে যেমন, খাদ্যে পুষ্টিকর খাবার যোগ করে,  মানসিক চাপ কমিয়ে থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।

জেনে নিই থাইরয়েডের লক্ষণ ও প্রতিরোধ।

থাইরয়েডের লক্ষণগুলো কী কী?

হেলথ লাইন অনুসারে, থাইরয়েডের অনেক উপসর্গ থাকতে পারে, যার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ-

- বিরক্তি ভাব

- অত্যাধিক ঘাম

- চুল পাতলা হয়ে যাওয়া

- ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি

- পেশীতে দুর্বলতা এবং ব্যথা

- হার্টবিট বেড়ে যাওয়া

- মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড

চিকিৎসা কি?

থাইরয়েড রোগীদের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এবং তার নির্দেশাবলী অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই সাথে আপনি ঘরে বসেই গ্রহণ করতে পারেন এমন আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে।

চিনি মুক্ত খাদ্য

থাইরয়েডের অবস্থায় আপনাকে চিনির কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। তাই সুগার ফ্রি ডায়েট নিন। চিনি আপনার শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি সমস্যাটিকে আরও গুরুতর করে তুলতে পারে।

ভিটামিন বি

বি ভিটামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন।ভিটামিন B-12 সম্পূরক গ্রহণ করা হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে শরীরের অনেক ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ডায়েট ঠিক করুন

থাইরয়েড রোগীদের জন্য তাদের খাদ্য সংশোধন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।রুটির মতো স্টার্চ জাতীয় খাবার না খেয়ে গোটা শস্য যেমন গম, রাগি এবং ওটস খান। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

প্র ভ