এই জিনিসগুলো ছোট্ট বয়স থেকে শিশুদের শেখানো দরকার

  

ভালো দক্ষতা থাকা জরুরী কিন্তু এই দক্ষতাগুলোকে ভুল জায়গায় ব্যবহার করা ঠিক নয়।  প্রায়শই সেই শিশুদের স্মরণ করা হয় যারা হয় বেশি দুষ্ট বা আরও শান্ত।

 আপনার সন্তান যদি শান্ত থাকে এবং ভালো অভ্যাসের সাথে জড়িত থাকে তাহলে সবাই তাকে মনে রাখে।  আপনার ভেতরের সামাজিক দক্ষতা যেমন বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো বন্ধন গড়ে তুলতে কাজে লাগে, তেমনি শিশুদের মধ্যে সামাজিক দক্ষতা থাকাটা খুবই জরুরী। 

শিশুরা যদি অল্প বয়সে এই জিনিসটি শিখে তবে পরে তাদের উপকার হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দক্ষতা রয়েছে যা প্রতিটি বাবা মার তাদের সন্তানকে শেখানো উচিৎ ।

সাহায্য বা সহযোগিতা করা:

 যে কোনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য একে অপরের সহযোগিতা প্রয়োজন।  অন্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই দক্ষতা থাকা অপরিহার্য। 

এটি করার মাধ্যমে অন্যের অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা জানতেও শিখেন। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের অন্যকে সাহায্য করার কথা বলুন।

ব্যক্তিগত সময় প্রয়োজন:

 আপনার সন্তানকে শেখান যে প্রত্যেকের শারীরিক এবং মানসিক সীমানা আছে।  কখনও কখনও শিশুরা এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে তারা সামনের ব্যক্তিকে তাদের ব্যক্তিগত স্থান দেয় না।  আপনার সন্তানকে এটি শেখান এবং তাকে কিছু সীমানা নির্ধারণ করতে বলুন।

জিনিস শোনা:

 অনেকেরই এই দক্ষতা নেই যে প্রায়শই মানুষ  সামনের কথা শুনে থাকে না ।  কিন্তু আপনার সন্তানকে এটা শেখাবেন যে, সামনে থেকে কেউ যদি কিছু বলছে, তাহলে তার কথা শোনা দরকার।

 ভাগ করা:

 গবেষণা অনুসারে, শিশুরা যখন তাদের কাছে বেশি কিছু থাকে তখন অন্যদের সাথে ভাগ করে নেয়।  অন্যদিকে, তিন এবং ছয় বছরের শিশুরা একটু স্বার্থপর এবং সাত থেকে আট বছরের শিশুরা অন্যদের সাথে ভাগ করে নেয়।

  আমরা সকলেই জানি যে ভাগ করা যত্নশীল এবং শিশুদের এটি শেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।  এতে করে শিশুরাও আপস করতে শেখে।  এ থেকে শিশুরাও শিখতে পারে যে, তারা যদি অন্যের জন্য একটু কাজ করে, তাহলে তারাও বিনিময়ে কিছু পেতে পারে।