কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের স্ক্রীনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চোখকে বাঁচানোর টিপস

স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমাদের বেশিরভাগই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রতিদিন একটি উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় করে। চাকরির কারণে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোক স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে বা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করছে। কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের স্ক্রিন চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জিন টুয়েঞ্জ আবিষ্কার করেছেন যে স্মার্টফোনের নীল আলো অনিদ্রার কারণ হতে পারে। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তির ফলে চোখ সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা কি বলেন?

দিল্লির বাজাজ আই কেয়ার সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজীব বাজাজ বলেছেন যে কয়েক ঘন্টা স্ক্রিনে ফোকাস করলে আমাদের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে। অত্যধিক কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট চোখের সমস্যাকে কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম (CVS) বলা হয়। কম্পিউটার স্ক্রিনে যারা কাজ করছেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বাচ্চারা যারা কার্টুন দেখে এবং স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে গেম খেলে তারাও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়।

ডাঃ বাজাজের মতে, যদি আপনার চোখের সমস্যা থাকে এবং আপনি স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় সঠিক চশমা না পরেন, তাহলে সম্ভবত আপনি সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলছেন। পর্দার অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি ঝাপসা, চোখে শুষ্কতা, চোখে জ্বালা, মাথা ব্যথা বা ঘাড় ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।

চোখের সমস্যা কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের বেশিক্ষণ পর্দার দিকে তাকানো উচিত নয়। আপনি যদি অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন তবে আপনার মাঝে বিরতি নেওয়া উচিত। ২০ মিনিটের জন্য কাজ করার পরে, ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিন এবং এই সময়ে আপনার চোখের পাতা ২০ বার ব্লক করুন। যদি চোখে শুষ্কতা দেখা দেয় তবে আপনি চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে উপযুক্ত ড্রপ নিতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতি তিন মাস পর পর চক্ষু পরীক্ষার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।