আপনিও কি ওজন বাড়াতে চান? তবে ডুমুর খান
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কে, এ, ই, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং কপার পাওয়া যায়। তাই এই ড্রাই ফ্রুটটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, আপনি যদি প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে এটি খান, তাহলে ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগও আপনার থেকে দূরে থাকতে পারে।
এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডুমুর ওজন বাড়াতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য শুধু কিছু কার্যকরী পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। আমরা আপনাকে এমনই কিছু পদ্ধতির কথা বলতে যাচ্ছি।
ওটসের সঙ্গে ডুমুর -
ওটসে উপস্থিত পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। দ্রুত ওজন বাড়াতে ওটসের সঙ্গে ডুমুর খেতে পারেন। এর জন্য ওটমিল নিন এবং তাতে সারারাত ভেজানো ডুমুর দিয়ে খান। আপনি চাইলে এই ওটমিলে ডুমুরের সাথে দুধ পান করতে পারেন।
ডুমুরের হালুয়া -
যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, তাঁদের মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি যদি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তাহলে ডুমুরের হালুয়া খেতে পারেন। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এর স্বাদও অসাধারণ। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় ডুমুরের হালুয়া অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডুমুর এবং কিশমিশ -
যদিও বেশিরভাগ মানুষই ওজন কমানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন, কিন্তু কেউ কেউ আছেন যারা নিজের বা বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ডুমুর ও কিশমিশ একসঙ্গে খেলে ওজন বাড়তে পারে। এর জন্য আপনাকে ৫ থেকে ৬ টি কিশমিশ এবং ২ থেকে ৩ টি ডুমুর ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে প্রাতঃরাশের সময় এগুলি খান। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনাকে সুস্থও রাখবে।
ডুমুর এবং দুধ -
ডুমুরের গুণাগুণ যদি দুধে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যের সাথে মেশানো হয় তবে তা হবে দুর্দান্ত। ওজন বাড়াতে দুধকে সবচেয়ে কার্যকরী বলে মনে করা হয়। ডুমুর ও দুধ খাওয়ার জন্য এক গ্লাস দুধে ২-৩ টি ডুমুর ফুটিয়ে নিন। এর পর পান করুন। যদি দুধে ফোটাতে না চান, তাহলে গরম দুধের সাথে ২-৩ টি শুকনো ডুমুর আলাদা করে খেতে পারেন।
No comments: