গুগ্গুল দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে

গুগ্গুল প্রকৃতিতে গরম, স্বাদে তেতো। গুগ্গুলের বোটানিক্যাল নাম কমিফোরা ভিটি। গুগ্গুলের আঠা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ।

ক্ষত নিরাময় করে গুগ্গুল -

আপনি যদি আঘাত পান তবে ক্ষত নিরাময়ে সময় লাগতে পারে। গুগ্গুল ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি জ্বালাপোড়া এবং ক্ষতের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। তবে ক্ষতের উপর গুগ্গুল ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গুগ্গুলের অসুবিধা -

গুগ্গুল যদি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। এটি থেকে ছানি এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শেই গুগ্গুল খাওয়া উচিৎ।

ডায়াবেটিসে উপকারী -

আয়ুর্বেদ অনুসারে, বাত এবং কফ দোষের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়াবেটিস হয়। গুগ্গুলের বাত এবং কফ কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শে গুগ্গুল খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় -

পরিপাকতন্ত্রে ব্যাঘাত ঘটায় গ্যাস, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। গুগ্গুল হজমশক্তি বাড়ায়। গুগ্গুলের পাউডার অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। হজমশক্তি ঠিক রাখতে এটি খেতে পারেন।

ত্বকের জন্য উপকারী -

ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদেও গুগ্গুল ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের সমস্যা দূর করে। গুগ্গুল ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু গুগ্গুলের প্রভাব গরম, তাই পিত্ত প্রকৃতির মানুষদের এটি শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শেই খাওয়া উচিৎ। গুগ্গুল শুষ্ক ত্বকের কারণও হতে পারে।

জয়েন্টের ব্যথায় উপকারী -

জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা শরীরে বাত দোষ বৃদ্ধির কারণে হয়। গুগ্গুল বাতের ভারসাম্য বজায় রাখে, এটি ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। গুগ্গুল হাড়ও মজবুত করে। এছাড়াও, গুগুলের প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রদাহ উপশম করতে সহায়তা করে।