Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

আপনার শরীরে কি আয়রনের ঘাটতি রয়েছে? তাহলে এই সম্পর্কিত উপসর্গ এবং রোগের বিষয়ে সতর্ক হন


আয়রনের ঘাটতি: আয়রন একটি খনিজ যা শরীরকে শক্তিশালী করে। যদি কোনো কারণে আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয়, তাহলে তা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। এটি শরীরের অনেক অঙ্গ প্রভাবিত করতে পারে। আয়রনের ঘাটতি কম হিমোগ্লোবিন এবং রক্তাল্পতার দিকে পরিচালিত করে। শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে এবং সঠিক প্রবাহ বজায় রাখতে আয়রন অপরিহার্য। শরীরে আয়রনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি থাকলে তা রক্তশূন্যতার মতো রোগের কারণ হতে পারে। এটি আপনাকে ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ করতে পারে। গর্ভাবস্থায় শরীরে আয়রনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি হয়। গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক বিকাশের জন্যও আয়রন অপরিহার্য। দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন জেনে নিই আয়রনের অভাবে কী কী রোগ হয় এবং তাদের লক্ষণ।

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি সিম্পটম (আয়রন ডেফিসিয়েন্সি সিম্পটম)

১) আয়রনের ঘাটতির কারণে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা।

২) এর ফলে শ্বাসকষ্ট এবং অস্বস্তি হয়।

৩) শরীরে আয়রনের পরিমাণ কম হলে চুল পড়ে।

৪) খিটখিটে প্রকৃতি এবং ত্বকের রং বিবর্ণ হতে শুরু করে।

৫) আয়রনের ঘাটতির কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং নখ সাদা হয়ে যায়।

৬) আপনি বুকে ব্যথা এবং ধড়ফড় অনুভব করতে পারেন।

৭) কখনও কখনও আয়রনের ঘাটতি আপনার হাত এবং পা ঠান্ডা হতে পারে।

৮) কিছু ক্ষেত্রে আয়রনের ঘাটতি চিন্তা করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

 আয়রনের অভাবজনিত রোগ

১- অ্যানিমিয়া আয়রনের ঘাটতি শরীরে রক্তাল্পতার দিকে পরিচালিত করে। নারীদের রক্তস্বল্পতা বেশি হয়। খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং পিরিয়ড ও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেও এমন হতে পারে। আপনি যখন রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তখন আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন, কাজ করতে অসুবিধা হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকে। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকেও প্রভাবিত করে।

২- ফুসফুসের সমস্যা: যারা রক্তস্বল্পতার অভিযোগ করেন অর্থাৎ শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে তারা হার্ট এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। আয়রনের ঘাটতি হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসে বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি করে। ধড়ফড়ের কারণে অনেক সময় হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি থাকতে পারে।

৩- দুর্বলতা এবং ক্লান্তি- শরীরে আয়রনের ঘাটতি শরীরে হিমোগ্লোবিনের পর্যাপ্ত গণনা গঠনে বাধা দেয়। এটি আপনাকে সারাদিন ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ করতে পারে। কখনও কখনও বর্ধিত অসুবিধার কারণে, এটি আপনার দৈনন্দিন কাজকে প্রভাবিত করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। কম হিমোগ্লোবিন পেশী এবং টিস্যুতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে বাধা দেয় যা আপনাকে ক্লান্ত বোধ করে।

৪- গর্ভাবস্থা- গর্ভাবস্থায় মহিলারা আয়রনের ঘাটতিতে ভুগতে পারেন। আয়রনের ঘাটতির কারণে জন্মের সময় শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি শিশুর অকাল জন্মের ঝুঁকিতেও ফেলে। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি কম ওজন, অনুপযুক্ত মানসিক বিকাশ এবং শিশুর আয়রনের ঘাটতির ঝুঁকি বাড়ায়।

৫- চুল ও চর্মরোগ- আয়রনের ঘাটতির কারণেও শরীরে চুল ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। আয়রনের অভাবে ত্বকে শুষ্কতা ও দাগ দেখা দেয়। এটি ত্বককে নিস্তেজ ও বিবর্ণ করে তোলে। আয়রনের অভাবে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। আয়রনের ঘাটতির কারণেও চুল পাকা হয়ে যায়।

৬- হৃদরোগ- শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিন কমতে শুরু করে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। আয়রনের ঘাটতি হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে হার্টকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। দীর্ঘায়িত আয়রনের ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

 আয়রনের প্রধান উৎস (আয়রনের খাদ্য উৎস)

নিরামিষভোজী আয়রনের উৎস- লৌহের ঘাটতি পূরণ করতে নিরামিষাশীরা বোতল করলা, কুমড়ার বীজ, ক্যাপসিকাম, সবুজ শাক, পালং শাক, আলু, বীটরুট, ডালিম, মটরশুটি এবং রাজমা খেতে পারেন। খাবারে অবশ্যই কিশমিশ এবং অন্যান্য বাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আমিষভোজী আয়রনের উৎস- আমিষভোজীরা আয়রনের ঘাটতি মেটাতে মাছের মতো সামুদ্রিক খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি মাংস, মুরগির মাংস, মাটন এবং ডিম খেতে পারেন।

No comments: