জেনে নিন কেন শিশুদের স্ক্রীন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ

চেন্নাই হাসপাতালের গবেষণায় দেখা গেছে যে গত দুই বছরে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া (নিকট-দৃষ্টি ত্রুটি) ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে যেসব শিশু অনলাইনে বেশি সময় কাটায় তাদের মায়োপিয়া হওয়ার ঝুঁকি পাঁচগুণ বেশি। মায়োপিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে বস্তুটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে অস্পষ্ট দেখায়।

মায়োপিয়ার কারণ কী?

কম্পিউটারের অত্যধিক ব্যবহার বা দীর্ঘ সময় ধরে চোখের উপর চাপ পড়া এর প্রধান কারণ হতে পারে। অনলাইন ক্লাস শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া রোগের আকস্মিক বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়াও, বাইরের চেয়ে বাড়ির ভিতরে বেশি সময় কাটানোও মায়োপিয়া সৃষ্টির একটি নির্ধারক কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সূর্যের আলোতে বাইরে খেলার সময় না থাকা এবং খেলাধুলার মতো কম কার্যকলাপের কারণে শিশুদের মায়োপিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। স্কুল এবং অনলাইন স্কুলিং বন্ধ হওয়ার সাথে, শিশুরা টিভি দেখছে বা গেম খেলছে এবং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বেশি সময় ব্যয় করছে।

এই অবস্থার একটি বড় কারণ হল চোখ এবং বস্তুর মধ্যে দূরত্ব ৩৩ সেন্টিমিটারের কম হলে দীর্ঘ সময় ধরে পড়া এবং লেখার মতো কাজ করা। কোভিড-১৯ লকডাউন চলাকালীন, শিশুদের জন্য একাডেমিক এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল বা ট্যাবলেটের দিকে তাকানো একটি সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং তাও দীর্ঘ সময়ের জন্য বিরতি ছাড়াই। ডিজিটাল ডিভাইসের এই ধরনের এক্সপোজার শিশুদের দৃষ্টিশক্তির উপর বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। তা ছাড়া, ডিজিটাল ডিভাইসগুলি আলো নির্গত করে যা মায়োপিয়া ছাড়াও অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে যেমন চোখের শুষ্কতা এবং আলো দেখতে অক্ষমতা।

বাচ্চাদের চোখ কীভাবে রক্ষা করবেন?

মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মাঝে বিরতি দিয়ে দেখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার শিশু কম্পিউটার স্ক্রীন বা মোবাইল ফোনের সামনে বেশি সময় কাটায়, তবে একই কাজ করার সময় ঘন ঘন বিরতি নেওয়া শিশুদের তুলনায় শিশুর চোখের সমস্যা এবং আঘাতের ঝুঁকি বেশি।

অনলাইনে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের পরিবর্তে মোবাইল ব্যবহারে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। এর কারণ হল চোখ এবং ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে দূরত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

বাচ্চাদের প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা ঘরের বাইরে সূর্যের আলোতে খেলতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য শিশুদের সামগ্রিক বিকাশকে উৎসাহিত করে।