থাইরয়েড সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ থাকলে এই খাবারগুলো খান

সারা বিশ্বে থাইরয়েড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। থাইরয়েড হল কলারবোনের কাছে ঘাড়ের অভ্যন্তরে একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি এক ধরনের অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি, যেখান থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ। থাইরয়েড দুই ধরনের হয় - হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম। অনেক সময় মানুষ থাইরয়েডের সমস্যা সম্পর্কে জানতেও পারে না। আজ আমরা আপনাকে থাইরয়েডের প্রাথমিক লক্ষণ এবং তা থেকে বাঁচার উপায় জানাচ্ছি।

থাইরয়েডের লক্ষণ

 - নার্ভাসনেস এবং বিরক্তি

 - অত্যাধিক ঘামা

 - হাত-পা কাঁপছে

 - চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া

 - ঘুম বঞ্চনা

 - পেশী ব্যথা এবং দুর্বলতা

 - দ্রুত হৃদস্পন্দন

 - ক্ষুধা বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাস

 - মহিলাদের পিরিয়ডের অনিয়ম

থাইরয়েড হলে এই জিনিসগুলো খান (থাইরয়েড ডায়েট)

১- আয়োডিন- থাইরয়েড রোগীদের খাদ্যতালিকায় আয়োডিন অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়।

২- মাছ- আপনার থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অবশ্যই মাছ খেতে হবে। আয়োডিন সব মাছেই প্রচুর, তবে আয়োডিনের বেশির ভাগই সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায়।

৩- দুগ্ধজাত দ্রব্য- আপনার যদি থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা থাকে তবে আপনার দুধ, দই, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বেশি ব্যবহার করা উচিত। এগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

৪- লিকোরিস- থাইরয়েড গ্ৰন্থির ভারসাম্য বজায় রাখতে লিকোরিসে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। শরবত খেলে ক্লান্তি ও দুর্বলতার সমস্যা কমে যায়।

৫- সয়া- থাইরয়েড রোগীদের খাবারে সয়াবিন জাতীয় পণ্য যেমন সয়া দুধ, টফু বা সয়াবিন খেতে হবে। এগুলিতে রাসায়নিক থাকে যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে এর পাশাপাশি আয়োডিনের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।