জাতীয় আম দিবস: ইতিহাস, আকর্ষণীয় তথ্য এবং প্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফলের সাথে উদযাপনের টিপস

আম বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। এটি শুধু একটি ফলই নয় বহু দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের একটি অংশ। ৫০০০ বছর আগে ভারতে আম প্রথম জন্মে। ফলের ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং রঙিন। মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে এটির উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। ভারতে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। এই ফলটি গ্রীষ্মকালে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ফল। ম্যাঙ্গো শেক, স্মুদি, ম্যাঙ্গো কেক, ম্যাঙ্গো আইসক্রিমের মতো অনেক খাবার এটি থেকে তৈরি করা হয়। জাতীয় আম দিবস বা আম দিবস ২২ জুলাই পালিত হয়। আজ আমরা আপনাকে দিনটি এবং এর মজার তথ্য সম্পর্কে বলব।

জাতীয় আম দিবসের ইতিহাস

জাতীয় আম দিবসের ইতিহাস এবং উৎস অজানা, তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আগে দক্ষিণ এশিয়ায় আম প্রথম জন্মে বলে জানা যায়। ভারতের লোককাহিনী এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে আমের অটুট যোগ রয়েছে। আমের বাগানটি বুদ্ধকে উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। বৈজ্ঞানিক শব্দ Mengifera সংস্কৃত শব্দ Manjari থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হল ছোট ছোট গুচ্ছে বেড়ে ওঠা ফুল। এটি ফলের ভারতীয় শিকড় নির্দেশ করে।

আম সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য

আম ভিটামিন এ, সি এবং ডি এর প্রধান উৎস। ফল রান্না করে খাওয়া যায়। এটি আচারেও ব্যবহৃত হয়। একে ভারতের জাতীয় ফল বলা হয়। আকার, রঙ অনুসারে ভারতে অনেক জাতের আম পাওয়া যায়।

ভারতে আমের ঝুড়িকে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  

আমের ছাল, পাতা, পাল্প বহু শতাব্দী ধরে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বে ৫০০ ধরনের আম পাওয়া যায়। জাপানি মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের একটি। বাংলাদেশ ২০১৯ সালে আম গাছকে জাতীয় গাছ হিসেবে ঘোষণা করে।

জাতীয় আম দিবস কিভাবে উদযাপন করবেন?

আম দিবস উদযাপনের কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই।  

এটি প্রতিটি দেশে বিভিন্ন উপায়ে পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে, আপনি আম কিনে বাড়িতে অনেক রেসিপি চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়াও আপনি নতুন হ্যাশট্যাগ সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে পারেন এবং ফল সম্পর্কে ইতিহাস, ফটো এবং তথ্য শেয়ার করতে পারেন। আপনি বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে এটি উপভোগ করতে পারেন। প্রতিটি জাতের আমের একটি অনন্য স্বাদ এবং গঠন রয়েছে। এটি থেকে আচার, আইসক্রিম, কেক, স্মুদি, জুসও তৈরি করা যায়। আপনি চাইলে আজকে আম নিয়ে পড়ে সময় কাটাতে পারেন।