আপনি কি জানেন পেটের গ্যাসকে দূর করে রসুন
পেটে গ্যাস বেশি হলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া পেটে গ্যাস বেশি হতে থাকে, যা অন্যের সামনে বিব্রত বোধ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। গ্যাস নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় মসলাযুক্ত জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ নয়। এই সময়ে, হালকা খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ডায়েট সম্পর্কে-
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কী খাবেন?
পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কলা, নারকেলের জল, ঠান্ডা দুধ ইত্যাদি খান। এতে আপনি অনেক উপকার পাবেন। আসুন জেনে নেই এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-
নারকেল জল পান করুন:
পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে সকালে চা-কফির বদলে নারকেল জল পান করুন। নারকেল জল পান করুন পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। আসলে, নারকেল জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নারকেলের পানি খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ঠান্ডা দুধ পান করুন:
দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে গরম দুধের পরিবর্তে ঠান্ডা দুধ খান। ঠাণ্ডা দুধ খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সকালে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে পেটে জ্বালাপোড়া, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী, যা অতিরিক্ত গ্যাস গঠনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
কলা অবশ্যই খেতে হবে:
পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে কলা খান। কলা খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। আসলে, কলায় রয়েছে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম, যা পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী হতে পারে। এছাড়া কলায় রয়েছে ফাইবার, যা অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের pH মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
স্যালাডে শসা খান:
পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শসা আপনার জন্য খুবই উপকারী। আসলে, পেট ঠান্ডা করতে শসা উপকারী হতে পারে। এছাড়াও এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এটি খেলে অ্যাসিডিটি রিফ্লেক্স কমে যায়। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে শসা খান।
রসুন খান:
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হলে রসুন খান। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুনের কুঁড়ি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
পেটে অত্যধিক গ্যাস গঠনের কারণে মশলাদার এবং সোডা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলুন। একই সময়ে, এই সময়ে অ্যালকোহল এবং ধূমপান করবেন না।
এসব কিছু গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার বেশি গ্যাস হয় তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। একই সাথে, ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী আপনার খাদ্য পরিবর্তন করুন।
No comments: