দুধের সাথে এই জিনিস মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
দুধ অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, তবে দুধে এলাচ যোগ করে আপনি দুধের শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। দুধে এলাচ মিশিয়ে পানের উপকারিতা আশ্চর্যজনক।
অনেক সময় দুধের সাথে অনেক কিছু মিশিয়ে পান করা হয় যাতে অনেক রোগ এড়ানো যায়। দুধ ও এলাচ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন অনেক উপকার করে, তেমনি শরীরকে অনেক মারাত্মক রোগের শিকার হওয়া থেকেও রক্ষা করে। দুধের উপকারিতা যেমন জানেন, তেমনি এলাচের উপকারিতাও অনেক।
হাড় হয় শক্তিশালী:
হাড় মজবুত করার জন্য দুধকে সবচেয়ে ভালো মনে করা হয়। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি। এতে হাড় মজবুত হয়।
সেই সঙ্গে এলাচের মধ্যে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে, তা দুধে যোগ করলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়। এই কারণেই বয়স্ক ব্যক্তিদের বিশেষ করে দুধে এলাচ মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেয়:
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে আমরা প্রায়ই ঠাণ্ডা-সর্দি পেয়ে থাকি। আমরা ওষুধ খাই কিন্তু ঘরোয়া ও কার্যকরী পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতিদিন রাতে এলাচের দুধ পান করাই ভালো।
সাধারণ সর্দি কমাতে এলাচ উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পানীয়টি শুধুমাত্র ঠান্ডা থেকে মুক্তি দিতে পারে না, কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করতে পারে।
মুখের ঘা সেরে যায়:
মুখের আলসারের কারণে অনেককে সবসময়ই অস্থির দেখায়। পাকস্থলী ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে সাধারণত মুখের ঘা হয়ে থাকে।
এলাচের এমন বিশেষ গুণ রয়েছে, যা শুধু পেট পরিষ্কার করে না, পাকস্থলীর আলসারও নিরাময় করে। দুধ ও এলাচ একসঙ্গে খেলে মুখের ঘা দূর হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে সবসময়ই অনেক ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে যেমন স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি।
হজমশক্তি শক্তিশালী :
এলাচ এবং দুধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফাইবার শরীরের পুষ্টি উপাদান হিসেবে হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের খাবার পেটে ঠিকমতো হজম হয় না, তাদের খাবারের পর অবশ্যই দুধ ও এলাচ খেতে হবে।
এতে পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে এবং আপনি হজম সংক্রান্ত যেকোনও ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পান।
No comments: