আপনি কি জানেন হলুদ শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে
হলুদকে শুধুমাত্র একটি মশলা হিসাবে দেখা হয় না। এটি ওষুধের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। ঠাণ্ডা ও কাশি নিরাময়ের জন্য মলম হিসেবে কয়েক শতাব্দী ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি খেলে শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ে না, মুখে লাগালে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে, একশোরও বেশি ঔষধি গুণে ভরপুর হলুদ শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কোন অনুপাতে হলুদ খাওয়া উচিৎ এবং কাদের হলুদ খাওয়া উচিৎ নয় তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা বলছি ,কোন কোন ব্যক্তিদের অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ ।
পাথরের রোগীদের :
যাদের পাথর হয়, তাদের হলুদ কম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
রক্তপাত :
নাকদিয়ে ঘন ঘন রক্তপাত হলে হলুদের ব্যবহার সীমিত করুন। নাহলে আপনার সমস্যা বাড়তে পারে। হলুদ রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তাই হলুদের পেস্ট আঘাতে লাগানো হয় , যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে ।
জন্ডিস রোগীদের জন্য :
আপনি জেনে থাকবেন যে জন্ডিস রোগে হলুদ খাওয়া উচিৎ নয়, ডাক্তার এটা নিষেধ করেন। আপনি যদি এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে থাকেন এবং ডাক্তার হলুদ খাওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকেন তবে শুধুমাত্র হলুদ খান, অন্যথায় আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।
সুগারের রোগী :
জেনে অবাক হবেন যে সুগারের রোগীদেরও হলুদ খাওয়া উচিৎ নয়। সুগার রোগীদের খাওয়া ওষুধ রক্ত পাতলা করে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুগারের রোগীরা হলুদ খেলে কষ্ট পান না, যতক্ষণ না তারা এটি প্রচুর পরিমাণে খান। সুগারের রোগীরা যদি বেশি হলুদ খাওয়া শুরু করেন, তাহলে তাদের শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে। সেজন্য তাদের সীমিত পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ হলুদ রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এমন অবস্থায় চিনির ওষুধের সঙ্গে হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে।
No comments: