আপনি কি জানেন প্রাকৃতিক ব্যথানাশক আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে
প্রতিদিনের ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এমন সব জিনিসই আপনার রান্নাঘরে রয়েছে। এই প্রাকৃতিক ব্যথানাশকগুলির অনেক ধরনের ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা উপশম করার ক্ষমতা রয়েছে। আপনি এগুলি আত্মবিশ্বাসের সাথে খেতে পারেন। কারণ এদের অন্যান্য অঙ্গের উপর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এখানে জেনে নিন এমনই পাঁচটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক সম্পর্কে।
পেঁয়াজ :
পেঁয়াজের রসে প্রদাহরোধী এবং ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্যানে পেঁয়াজ গরম করার পর এর রস বের করে জয়েন্টে লাগালে ব্যথায় দারুণ উপশম হয়। এ ছাড়া পেঁয়াজ মচকে যাওয়া ফোলা ও ব্যথা কমাতেও ভালো কাজ করে।
রসুন :
শরীরের কোনো অংশে ব্যথা হলে রসুনের তেল মালিশ করা উচিৎ। ব্যথায় অনেক উপশম হবে। বুকে ব্যথা বা ভারী হওয়ার ক্ষেত্রে, গ্যাসের সমস্যা হলে রসুনের কোয়া জলের সঙ্গে গিলে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
জোয়ান :
পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে বা পেটে ব্যথা থাকলে জোয়ান খেলে দারুণ আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় মহিলাদের ব্যথায় এটি অনেক উপকার করে। জোয়ানের তেল তৈরি করে লাগালে শরীরের যে কোনো অংশে ব্যথায় উপশম পাওয়া যায়।
আদা :
মাথাব্যথা হলে আদা জলে পিষে পেস্ট তৈরি করে কপালে লাগান। আদার ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনাকে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া আদা বাতও দূর করে। পেটে গ্যাস তৈরি হলে কালো লবণ দিয়ে আদা খেলে দারুণ আরাম পাওয়া যায়। সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দূর করতেও আদাকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
হলুদ :
হলুদের ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্যও পাওয়া গেছে। ঘা হলে, পেকে গেলে, ফুলে গেলে সরিষার তেলে গরম হলুদ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ব্যথা এবং ফোলা কমায়। দুধের সঙ্গে হলুদ মাংসপেশির অভ্যন্তরীণ ব্যথা দূর করে। এছাড়া সর্দি-কাশির সমস্যায়ও আরাম দেয় হলুদ।
No comments: