এই সতর্কতাকে গর্ভাবস্থায় মানতে হবে
গর্ভাবস্থায় অনেক কিছুর যত্ন নেওয়া উচিৎ , কারণ একটু অসাবধানতাও গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কীকী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার
পরীক্ষা-পরবর্তী সতর্কতা:
আপনার মাসিক মিস হওয়ার সাথে সাথেই একটি পরীক্ষা করান এবং পরীক্ষায় গর্ভবতী বলে প্রমাণিত হলে প্রথম ৩ থেকে ৪ মাস শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া ভ্রূণ স্থির না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকুন।
বেশিক্ষণ দাঁড়াবেন না:
বেশিক্ষণ দাঁড়াবেন না। দীর্ঘক্ষণ রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে সেখানে চেয়ার রাখুন।
হিলযুক্ত স্যান্ডেল পরবেন না:
সবসময় ফ্ল্যাট চপ্পল পরুন, অফিসে গেলে শুধু ফ্ল্যাট স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না:
বাইরের খাবার, বিশেষ করে জাঙ্ক ফুড যেমন পিৎজা, বার্গার ইত্যাদি গ্রহণ করবেন না। হোটেল, বিয়ে ইত্যাদিতে খাবেন না। তাদের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয় না এবং আপনি সংক্রমণ পেতে পারেন। ভাজা ও মশলাদার খাবেন না, এগুলো গ্যাস, অ্যাসিডিটি, জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।
খেলাধুলা করবেন না:
গর্ভাবস্থায় দৌড়াদৌড়ি এবং খেলাধুলার মতো যেকোনো কাজ এড়িয়ে চলুন। প্রথম ৩ থেকে ৪ মাস খুব সংবেদনশীল হিসাবে বিবেচিত হয়, তাই কোনও ধরণের ভ্রমণ এবং সিঁড়ি বেয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন না। লাফালাফি করবেন না।
খুব বেশি ব্যায়াম করবেন না:
যদিও গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ, তবে এর জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম বা জিম করবেন না। গর্ভাবস্থায় সতর্ক থাকলে প্রসবের সময় কোনও সমস্যা হবে না। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঘামও গর্ভবতী মহিলার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
ওষুধ খাওয়া:
গর্ভাবস্থায় অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়, তাই ছোটখাটো অসুখের জন্য অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাবেন না। যতদূর সম্ভব ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করুন। কারণ এ সময় বেশি ওষুধ খাওয়া গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ভারী জিনিস তুলবেন না:
গর্ভধারণের পরে ভারী জিনিস তুলবেন না, কারণ এটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে, ভারী জিনিস তোলার ফলে পেটে চাপ পড়ে, যা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক।
কাঁচা পেঁপে খাবেন না:
গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া উচিৎ নয়। কাঁচা পেঁপেতে এমন একটি রাসায়নিক পাওয়া গেছে, যার কারণে অনাগত শিশুর অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া উচিৎ নয়।
No comments: