ব্রাহ্মনেরা কেন মাথায় টিক্কি রাখেন জানে নিন
বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মের মতো হিন্দুধর্মেরও কিছু রীতিনীতি রয়েছে। কিছু নিয়ম ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। যদিও কিছু বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে।
ব্রাহ্মনেরা যারা পূজা-অর্চনা করেন তার মাথায় টিক্কি বা চূড়া থাকা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়। সাধারণত যারা শীর্ষে থাকে তাদেরই মানুষ ধর্মান্ধ চিন্তার মানুষ বলে মনে করে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে টিক্কি বা চূড়া রাখার প্রথা অনেক পুরনো। জেনে নেওয়া যাক এই টিক্কি বা চূড়া রাখার পেছনের কারণ কী?
হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে, প্রথম, তৃতীয় এবং পঞ্চম বছরের শেষে শিশুদের ন্যাড়া করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় মুন্ডন সংস্কার। এটি ষোলটি ধর্মের একটি।
এছাড়াও, টিক্কি অর্থাৎ চূড়া রাখার আচারও যজ্ঞোপবীতে বা উপনয়নে করা হয়। মুন্ডন বা যজ্ঞোপবীত অনুষ্ঠানের সময় যে স্থানে শিখর স্থাপন করা হয় তাকে সহস্ত্রার চক্র বলে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মানুষের আত্মা এই স্থানে বাস করে।
অন্যদিকে, বিজ্ঞানের মতে, সহস্রার হল মস্তিষ্কের কেন্দ্র। এখান থেকে বুদ্ধি, মন ও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই স্থানে পিক রাখলে মস্তিষ্কের ভারসাম্য ভালো থাকে। শীর্ষে রাখা সহস্রার চক্রকে জাগ্রত রাখে।
চূড়ার বা টিক্কির আকৃতিও বলা হয়েছে শাস্ত্রে। সুশ্রুত সংহিতা অনুসারে, শিখরটিকে গরুর খুরের আকারে রাখতে হবে। এই আকৃতির শিখরে রাখলে মন ও মস্তিষ্কের অপারেশন উন্নত হয়।
No comments: