ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করুন কাঁচা আম

গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারেও আসতে শুরু করেছে কাঁচা আম। এমন ক্ষেত্রে মানুষ গরম থেকে মুক্তি পেতে এবং খাবারকে সুস্বাদু করতে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম ব্যবহার করে। একই সময়ে, গ্রীষ্মে কাঁচা আম থেকে তৈরি আমের পান্না, আমের আচার এবং আমডালের মতো অনেক কিছুই খাওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি ত্বকের যত্নে কাঁচা আম ব্যবহার করা খুবই উপকারী হতে পারে।

কাঁচা আম ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়।সেক্ষেত্রে ত্বকে কাঁচা আম ব্যবহার করলে শুধু গরমে উপশম হয় না, সঙ্গে সঙ্গে ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। 

জেনে নিই ত্বকের যত্নে কাঁচা আমের ব্যবহার এবং এর বিস্ময়কর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকের যত্নে কাঁচা আমের উপকারিতা

গ্রীষ্মের রোদ, ধুলোবালি এবং ঘামের কারণে ত্বকে ব্রণ, ট্যানিং, রোদে পোড়া, খসখসে ভাব, নিস্তেজতা ইত্যাদি দেখা দেয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, কাঁচা আমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।একই সময়ে, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলিকে সরিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। জেনে নিই কীভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন কাঁচা আম।

কাঁচা আম এবং ওটসের ফেসপ্যাক লাগান।

এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টোন উন্নত করতে কার্যকর। এর জন্য 1 টুকরো কাঁচা আম নিন। এর সঙ্গে 3 টেবিল চামচ ওটমিল এবং 7-8 টি বাদাম মেশান। তারপর 2 চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরী করুন। এবার এই পেস্টটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান, তারপর ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে দুবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক নরম ও সতেজ থাকবে।

কাঁচা আম ও ছোলার আটার ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন

গ্রীষ্মে ট্যানিং, রোদে পোড়া, এবং ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এটি একটি খুব কার্যকর রেসিপি হতে পারে। এটি তৈরি করতে, 4টি কাঁচা আম কেটে নিন।এবার 2 চা চামচ ময়দা, 1 চা চামচ মধু, 1 চা চামচ দই এবং 1 চিমটি হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে এবং আপনার মুখও উজ্জ্বল হবে।

প্র ভ