জেনে নিন অ্যালোভেরা জুসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অ্যালোভেরা ত্বক, স্বাস্থ্য এবং চুলের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। অনেকেই সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস পান করেন। একই সঙ্গে অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নের জন্যও ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে অ্যালোভেরার অতিরিক্ত ব্যবহারেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে ? অ্যালোভেরার পাতায় ল্যাটেক্স থাকে, যা গাছের ত্বকের নিচে থেকে আসে।  অনেক লোকের ল্যাটেক্স থেকে অ্যালার্জি হয়, যা পেটে অস্বস্তি, পেটে খিঁচুনি এবং কম পটাসিয়ামের মাত্রার কারণ হতে পারে।  এই ধরনের ক্ষেত্রে, এটি এখনও ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে স্বাস্থ্যের দিক থেকে, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত।

অতিরিক্ত ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অনেকের অ্যালোভেরা জেলে অ্যালার্জি হয়।এর ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, চোখ লাল হওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি, প্রদাহ এবং ফোলাভাব হতে পারে।

অ্যালোভেরার রস খাওয়া আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।  আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে অ্যালোভেরার জুস পান করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভাল।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে গর্ভবতী মহিলাদের এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরার রস পান করা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জরায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে।

অ্যালোভেরার রস শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা কমাতে পারে, যার ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি দেখা দেয়।  বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের অ্যালোভেরার জুস পান করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

অ্যালোভেরার বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি লিভারে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে লিভারের রোগ হতে পারে।

এতে থাকা ল্যাটেক্স পেটে খিঁচুনি এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই আপনি যদি পেটের সমস্যায় ভোগেন, তবে আপনার  অ্যালোভেরার জুস না  খাওয়াই উচিৎ। 

প্র ভ