কেন মহিলাদের গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে?

এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে এবং এটি বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের এবং তাদের অনাগত শিশুদের জন্য বিপজ্জনক।

গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে অকাল প্রসব হয়। MomJunction-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনে পরিচালিত গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে যদি একজন গর্ভবতী মহিলার অত্যধিক মোবাইল রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসে, তবে সন্তানের জন্মের পরে আজীবন আচরণের সমস্যা দেখতে হয়।

বিকিরণ এক্সপোজার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর মানসিক বিকাশকেও প্রভাবিত করে। মোবাইল ফোন থেকে রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর জন্য কিছু ঝুঁকি এবং কীভাবে সেগুলি এড়ানো যায় তা এখানে দেওয়া হল।

ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ, যা একটি মোবাইল, ওয়াই-ফাই, ল্যাপটপ বা একটি বেতার ডিভাইস থেকে বারবার বেরিয়ে আসতে পারে তা আমাদের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং আমাদের শরীরের জীবন্ত কোষের অণুগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের শরীরে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে যেহেতু সেই সময়ে ভ্রূণটি বিকাশ করছে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের প্রতিকূল প্রভাব কমাতে আপনার বাড়িতে ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া উচিত।

মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ঘরে বসে ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহার করলে ভালো হবে। আপনার রেডিও, মাইক্রোওয়েভ, এক্স-রে মেশিন ইত্যাদি থেকেও দূরত্ব বজায় রাখা উচিত এবং মোবাইল টাওয়ারের কাছাকাছি থাকা উচিত নয়।

বিকিরণ গর্ভবতী মহিলাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে যার ফলে ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং উদ্বেগ দেখা দেয়। রেডিও তরঙ্গের অত্যধিক এবং ক্রমাগত এক্সপোজারের ফলে গর্ভাবস্থায় ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এটাও দেখা গেছে যে মা যদি গর্ভাবস্থায় ফোন বেশি ব্যবহার করেন বা বাড়িতে এটি ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তিদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকলে সন্তানের আচরণে ৫০ শতাংশ পরিবর্তন হয়।

এই জাতীয় শিশুরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে যায়। এই ধরনের শিশুরা শারীরিক ও মানসিক ক্রিয়াকলাপের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সাথেও লড়াই করে। আপনার শিশু যদি এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।