Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

আপনি কি জানেন শীতকালে কীভাবে শিশুর যত্ন নিলে শিশু থাকবে ভালো







শীতকালে ছোট বাচ্চাদের ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। শীতে শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী।  তাদের শরীরের পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে এবং তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগে, তাই শীতের মৌসুমে শিশুদেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।


 এই মৌসুমে ঠাণ্ডা বাতাস ও গরম কাপড়ের কারণে শিশুদের ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে ত্বকে অ্যালার্জি ও ফুসকুড়ি আসতে শুরু করে।


 একই সময়ে, বেশি জামাকাপড় পরার কারণে, তাদের শ্বাসরোধ বোধ করতে শুরু করেন এবং বিরক্ত হয়ে কাঁদতে শুরু করেন।  এখানে কিছু টিপস যার সাহায্যে নতুন অভিভাবকরা তাদের সন্তানের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন।


  শীত মৌসুমে শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।  শীত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের স্নান করা বন্ধ করে দেন।  কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদেরও প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন।


তাদের নিয়মিত স্নান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। স্নান করলে ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের পুষ্টিও বজায় থাকে।  এমন অবস্থায় হাল্কা গরম জল দিয়ে স্নান করাতে পারেন।


আপনি যদি প্রতিদিন স্নান করতে না চান, তাহলে হালকা গরম জলে একটি তোয়ালে ছেঁকে সেগুলো মুছে নিতে পারেন।


 শীতে এভাবে শিশুদের যত্ন নিন:তেল লাগানো প্রয়োজন: স্নানের আগে ও রাতে ভালো কিছু তেল দিয়ে শিশুদের মালিশ করুন।  এতে করে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয় না এবং পুষ্ট থাকে। 


তেল মালিশ করলে শিশুদের রক্ত ​​চলাচল ভালো হয় এবং হাড় মজবুত হয়। স্নানের পর সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগান।


 রাতে যত্ন নিন:  রাতে শিশুর গায়ে ভারী কম্বল বা কুইল্ট পরিয়ে দেবেন না।  পরিবর্তে, আপনি ঘর গরম রাখার চেষ্টা করতে পারেন বা আপনি একটি হাল্কা কম্বল লাগিয়ে দিতে পারেন।


পেট ব্যথা হলে : শিশুর পেটে ব্যথা হলে বা পেট পরিষ্কার না হলে তাকে ওষুধের পরিবর্তে গ্রাইপ ওয়াটার দিন বা পেটে কম্প্রেস লাগান।  ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।


 মৌসুমি ফল খাওয়ান: শিশুকে ঋতু অনুযায়ী ফল ও শাকসব্জি খাওয়ান।  এর সাহায্যে তারা শীতকালে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পায় এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী থাকে।  এ ছাড়া বাচ্চা বড় হয়ে গেলে তাকে প্রতিদিন বাদাম, কাজু, কিসমিস খাওয়ান।


 পুষ্টির যত্ন: শিশুকে প্রতিদিন ডিম, দুধ, দই, সিরিয়াল, স্যুপ, ডাল ইত্যাদি খাওয়ান।  এতে আপনার সন্তানের শরীর গরম থাকবে এবং পেটও পরিষ্কার থাকবে।


 এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন: শিশুদের দূষণ ও ধোঁয়া থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।  এ জন্য শীতকালে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।


স্টকিং আবশ্যক: এমনকি শিশুরা যদি সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকে এবং তাদের পা মাটিতে না রাখে, তবুও তারা পায়ের পাতা থেকে ঠান্ডা অনুভব করতে পারে।


  অতএব, শিশুকে স্টকিংস পরানো বা পায়ের চারপাশে একটি কাপড় আবৃত করা প্রয়োজন।  মোজা দিয়েও পরতে পারেন।


 রোদ প্রয়োজনীয়: সুস্বাস্থ্যের জন্য সূর্যের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  সকালে কিছুক্ষণের জন্য আপনার শিশুকে সূর্য স্নান করুন।  এতে তারা তাজা বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবে।



No comments: