জেনে নিন শীতকালে দই খাওয়া নিরাপদ কি না
আমরা সবাই দই খেতে পছন্দ করি। দই একটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে পরিচিত যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
দই হজমের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া লোকদের জন্য উপকারী হতে পারে। তারা প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার খেতে পারে। দইয়ের মতো একটি প্রোবায়োটিক গ্রীষ্মের মরসুমে সত্যিই সহায়ক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শীতকালে এটি খাওয়া কি নিরাপদ?
শীতের মরসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এই সময়েএমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে। মরসুমি খাবার খাওয়া সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবুও শীতকালে খাওয়া-দাওয়ায় সতর্ক থাকতে হবে। দই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এতে রয়েছে। এটি ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস এবং শরীর ও হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখে। দই অ্যাসিডিটি, ফোলাভাব এবং গ্যাস প্রতিরোধ করে।
জেনে নিন শীতকালে দই খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা -
ভিটামিন এবং প্রোটিন :
দই ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ল্যাকটোব্যাসিলাসের উপস্থিতি বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণকে শরীর থেকে দূরে রাখে। দই ভিটামিন সি তে ভরা। সর্দি এবং কাশি নিরাময়ের জন্য ভিটামিন সি একটি চমৎকার উৎস। এটি ফ্রিজে রাখার চেয়ে কেনার পরে অবিলম্বে খাওয়া সর্বদা ভালো ।
হজমে সাহায্য করে :
দই হজমে স্বস্তির জন্য পরিচিত। এটি শরীরের pH ভারসাম্য পরিচালনা করে যা অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে। দই অ্যাসিডিটি রোধ করে হজমেও সাহায্য করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করে :
দই শরীরের হাড় মজবুত করে। ঠান্ডা আবহাওয়া কারো কারো শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। দইয়ে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি শুধু হাড়ের ঘনত্বের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে না বরং তাদের শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। দই-এ চর্বি এবং ক্যালোরি কম এবং ফলস্বরূপ ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য ভালো :
দই স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক প্রদানের বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। দইয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং উপাদান যা ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে যাদের ব্রণ আছে তাদের জন্য দই সহায়ক। দইকে বিউটি ফেস প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং মৃত কোষ ও দাগ দূর করে।
No comments: