কোনও মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা চোখ পরীক্ষা করলেই জানা যাবে
প্রতিটি মানুষের মনে কোনো না কোনো সময় এই চিন্তা অবশ্যই আসে যে তার জীবন আর কতদিন বাকি আছে। সবাই তাদের অবশিষ্ট সময় জানতে চায়।
এই তথ্য অনুযায়ী, একজন মানুষ কত বছর বাঁচবেন সে সম্পর্কে মানুষের চোখ তথ্য পেতে সক্ষম হবে। সহজ ভাষায় বোঝা গেলে চোখ পরীক্ষা করেই জানা যাবে যে কোনও মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি।
অস্ট্রেলিয়ার মেলব নের্শ সেন্টার ফর আই রিসার্চের গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চোখের রেটিনা মানুষের স্বাস্থ্যের আয়না, তাই চোখ স্ক্যান করেই বলা যায় মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা।
আর ব্যক্তির জীবনের কি অংশ বাকি থাকে। রেটিনায় দেখা বয়সের প্রভাব তদন্তে বোঝা যাবে। গবেষকরা বলছেন, গবেষণার সময় মানুষের চোখ পরীক্ষা করে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রামের সাহায্যে মানুষের ও রেটিনার বয়সের পার্থক্য বের করা যায়, যাতে বলা যায় মানুষ কতদিন বাঁচবে।
ডেইলিমেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষণার জন্য মেলবোর্ন সেন্টার ফর আই রিসার্চ একটি বিশেষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগরিদম তৈরি করেছে।
এর মাধ্যমে চোখের রেটিনার ১৯ হাজার ছবি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কের ৩৬ হাজার মানুষের ওপর এই গবেষণাটি বোঝা গেছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের রেটিনা তাদের বয়সের চেয়ে ৩ বছর বড় মানুষের মতো। একই সময়ে, কিছু লোকের রেটিনা বয়সে প্রায় এক দশক বেশি ছিল।
এ বিষয়ে গবেষক ডাঃ লিসা ঝু বলেন, গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় রেটিনা বার্ধক্যের সূচক এবং মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়।
এর সাহায্যে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগ শনাক্ত করা যায়, যা ভবিষ্যতে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। ব্রিটিশ জার্নাল অফ অফথালমোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, রেটিনার ঠিক পিছনের স্তরটি আলোর প্রতি সংবেদনশীল।
এর সাহায্যে অনেক রোগ শনাক্ত করা যায়। গবেষকরা বলছেন, গবেষণার ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক।
এটিই প্রথম নয় যে রেটিনা স্ক্যানিং করে কোনো রোগ বা বয়স শনাক্ত করার কথা বলা হচ্ছে।এর আগেও রেটিনা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আলঝেইমার ও হৃদরোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
No comments: