গরমে পেট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে সতর্কতা জরুরী
গ্রীষ্মকালে সাধারণত পেট সংক্রান্ত অনেক রোগের সম্ভাবনা থাকে যেমন বমি, ডায়রিয়া, আমাশয়, বদহজম, অ্যাসিডিটি অর্থাৎ গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, জন্ডিস এবং টাইফয়েড। এসব রোগের প্রধান কারণ বাজারের খোলামেলা খাবার ও দূষিত পানীয়। তাই এইসব খাদ্য ও পানীয় ব্যবহার পরিহার এবং সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সরকারি আয়ুর্বেদ কলেজের সহ-অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় শুক্লা জানান, এই মৌসুমে বাজারে বিক্রি হওয়া আখ বা অন্যান্য ফলের রস, লস্যি, কুলফি, লেবুর সরবত ইত্যাদি মানুষ সাধারণত খেয়ে থাকেন। এসব পানীয়তে বরফ মেশানো থাকলেও অনেক সময় দূষিত জল ও সতর্কতা না নেওয়ার কারণে এবং ফল পচে যাওয়ায় পেট সংক্রান্ত নানা রোগ দেখা দিতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে খাবারে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
গরমে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে
সাধারণ জনগণকে অবশ্যই বাজারের খাদ্য সামগ্রী খাওয়ার আগে পণ্যের পরিচ্ছন্নতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু গ্রীষ্মে হজম শক্তি দুর্বল থাকে, তাই প্রচুর পরিমাণে মশলাদার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, এ ছাড়া বাসি খাবার বা অন্যান্য খাবার ঘরে ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এই মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
ডাঃ শুক্লা আরও বলেন, গরম, টক, মশলাদার, নোনতা, ভাজা-ভাজা, মরিচ-মশলাদার, অড়হর ডাল, ময়দা, বেসনযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, আমিষ ও অ্যালকোহল পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য এদের এড়িয়ে চলা উচিত।
খনিজ পদার্থের পরিমাণ সুষম রাখা
ডাঃ শুক্লা বলেন, যেহেতু গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপ খুব বেশি থাকে, ফলে মানুষের মধ্যে জলশূন্যতা, ক্লান্তি, নার্ভাসনেস এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শরীরে জল ও অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হালকা, হজমযোগ্য, পরিষ্কার, ঠান্ডা বা সিদ্ধ তরল পানীয় খেতে হবে।গ্রীষ্মকালে বাটার মিল্ক, দই লস্যি, দুধ, কাঁচা আমের ঝোল, জলজিরা, লেবুর শিকাঞ্জি বা শরবত, আখের রস, বেলের শরবত, নারকেলের জল, মৌসুমি ও টাটকা ফলের রসের সঙ্গে জিরা ও লবণ মিশিয়ে খাওয়া ভালো। এগুলি বাড়িতে তৈরি করতে হবে বা বাজারে পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য ও যত্ন নিতে হবে।
গ্রীষ্মকালীন খাবার (স্বাস্থ্য পরামর্শ) এর মধ্যে রয়েছে পুরানো যব, পুরানো চাল, খিচড়ি, মুগ ডাল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যশস্য যেমন গমের রুটি, সত্তু, রায়তা, আমড়া, করলা, বাথুয়া, মুঙ্গা, পারওয়াল, লেডিফিঙ্গার, পুদিনা, টমাটো, শসা, আদা, পেঁয়াজ, আমলা জাম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া তরমুজ, মোসাম্বি, কমলা, ডালিম, তুঁত, আমলা ইত্যাদির ব্যবহারও উপকারী।গরমের সময় উপরোক্ত খাবারের মাধ্যমে পেটের রোগ এড়ানো যায়।
প্র ভ
No comments: