স্মৃতিশক্তির ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে যেসব খাবার
খাবার আমাদের শরীরে পুষ্টি প্রদান করে। তবে খাবারেরও কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে শরীরে। কেবল শরীরেই নয় খাবারের ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের মস্তিষ্কে।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যাতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। এতে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এই লক্ষণগুলি এড়াতে, কিছু খাবারের জিনিস এড়ানো উচিৎ। যেমন -
ভাজা খাবার : তেলে ভাজা খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই জাতীয় উচ্চ-ক্যালরি জিনিসগুলি মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীগুলি ফুলে যায়। যারা এসব খায় তাদের স্মৃতিশক্তিও দুর্বল।
নাইট্রেট সমৃদ্ধ খাবার : নাইট্রেট সালামি, সসেজ এবং বেকনের মতো জিনিসগুলির রঙ এবং গন্ধ উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এই জিনিসগুলি গ্রহণ করলে বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এগুলি খাওয়া বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।
হালকা পানীয় : কোল্ড ড্রিঙ্কস, সোডা, এনার্জি ড্রিংক্সের মতো কিছু হালকা পানীয় রয়েছে যা ডায়াবেটিস সহ হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এসবের পাশাপাশি এটি মস্তিষ্কের ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ মিষ্টি পানীয়তে ফ্রুক্টোজের পরিমান বেশি যা উচ্চরক্তচাপ চর্বি ও ধমনীর বিকলতা বাড়িয়ে দেয়। বিপাক সিন্ড্রোমের এই দিক গুলো ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। চিনির উচ্চমাত্রায় ডায়েট মস্তিষ্কের প্রদাহ বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার: মিষ্টি স্বাস্থ্যের শত্রু। এট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু বেকড পণ্য যাতে উচ্চ পরিমাণে যোগ করা চিনি এবং পরিশোধিত চিনি থাকে যা মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী।
উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক খাদ্য : পাস্তা, রুটি এবং সাদা ভাতের মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
এই জিনিসগুলি ওজন বাড়াতে পারে, বিপাকীয় ব্যাধিগুলির ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ডায়াবেটিসও হতে পারে।
ওয়াইন : অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করাও মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। অ্যালকোহল সেবন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল ব্যবহার করলে মস্তিস্কের আয়তন হ্রাস পায়।
No comments: