Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

ডেন্টাল ক্যারেজের অন্যতম কারণ জাঙ্ক ফুড

 ব্যস্ত জীবন আমাদের খাদ্যের ওপর বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা এখন অনেকাংশ ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুডের ওপর নির্ভরশীল। পিৎজা, বার্গার, ম্যাগি, চাউমিনের ফাস্ট ফুড খেতে বেশি পছন্দ করি। এসব খাবার স্বাস্থ্য এবং বিশেষ করে দাঁতের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।




বেশিরভাব বাচ্চারাও এসব বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে। কেক, কুকিজ এবং চকলেট মিষ্টিতে তার প্রিয় জিনিস। এসব জিনিস তাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দাঁতের জন্যও ক্ষতিকর।  এ ধরনের খাবার শুধু তাদের দুধের দাঁতই নষ্ট করে না বরং স্থায়ী দাঁতের ওপরও প্রভাব ফেলে।

  বেশিরভাগ অভিভাবকই মনে করেন, সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত ব্রাশ করলে শিশুর দাঁত সুস্থ থাকবে। কিন্তু কেবল দু-বার ব্রাশ করলেই হবে না। এর জন্য খাদ্যের দিকে নজর দিতে হবে। 




অভিভাবকরা অভিযোগ করেন যে তাদের শিশুর দুধের দাঁত পড়চ্ছে না বা নতুন দাঁত ঠিকমতো আসছে না।এমন অভিযোগে শিশুদের ডায়েট সম্পর্কে জানতে চাইলে জানা যায়, শিশুরা বেশি জাঙ্ক ফুড খায়। আসলে দুধের দাঁত না ভাঙার কারণ জাঙ্ক ফুড।  এই জাতীয় খাবার খুব নরম, যা দাঁতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করে না। ফলে দুধের দাঁত পড়তে এবং নতুন দাঁত আস্তে খুব দেরি করে। দাঁতের সমস্যা দূর করতে কি করবেন। 


●     এমতাবস্থায়, অভিভাবকদের পরামর্শ হল শিশুদের কাঁচা এবং আস্ত ফল এবং শাকসব্জি খাওয়া। এই জিনিসগুলো খেলে দাঁতে চাপ পড়ে এবং সঠিক সময়ে ভেঙে যায় এবং সঠিক সময়ে নতুন দাঁত বের হয়। এছাড়া এসব খাদ্য শরীরে নানা রকম পুষ্টিকর চাহিদা পূরণ করে। এর সঙ্গে দাঁত মজবুত হতেও সাহায্য করে। 


●     অনেকসময় দেখা বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হয়।  জাঙ্ক ফুডও এর একটা বড় কারণ।  এ ধরনের খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে যা খুব সহজেই দাঁতে লেগে যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁতে লেগে থাকার কারণে তা মুখের ব্যাকটেরিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়।  ব্যাকটেরিয়া শুধু এই খাবার হজম করে না, অ্যাসিডও তৈরি করে, যা দাঁতের ক্ষয় ঘটায়। ডাক্তারি ভাষায় একে ডেন্টাল ক্যারেজ বলা হয়।  


●      ছোটো থেকেই শিশুদের যে কোনও কিছু খাওয়ার পর অবশ্যই মুখকুলি করতে হবে।  অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রথম থেকেই এই অভ্যাসটি গড়ে তোলা।


●     অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের দিনে দুবার ব্রাশ করতে উৎসাহিত করা।  তবে ব্রাশ করতে হবে সঠিক কৌশলে, নাহলে দাঁত খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করানো উচিৎ।


No comments: