পড়তে বসলেই ঘুম পায়? এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বহু ছাত্রছাত্রীদের, জেনে নিন প্রতিকারের উপায়
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই। তবে এমন হয় যে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও ঘুমের কারনে ঠিকঠাক পড়া হয় না। এমন সমস্যা অনেকেরই হয়। ঘুম অবশ্যই ভালো জিনিস। কিন্তু পড়াশুনোর সময় যখন ঘুমের ব্যাঘাত শুরু হয় তখন মনে হয় ঘুমই সবচেয়ে বড় শত্রু।
এ জন্য শিক্ষার্থীদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে লেখাপড়ার সময় কীভাবে ঘুম রোধ করা যায়?
এর জন্য এমন একটি পদ্ধতির চেষ্টা করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে যাতে রাতে পড়াশোনা করার সময় ঘুম না আসে।
এরজন্য প্রয়োজন -
সুষম খাবার : রাতে অধ্যয়নের সময় ঘুম না আসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডায়েটে এমন জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করবেন না যা অলসতা সৃষ্টি করে। তাই খাদ্যতালিকায় এনার্জেটিক জিনিস রাখা উচিত। একটি সুষম খাবার যার মধ্যে রয়েছে সবুজ শাক-সব্জি, ফল, স্যালাড, মসুর ডাল ইত্যাদি। তালিকায় বাদাম এবং বীজ ভিত্তিক খাবার খেতে হবে।
বেশিকরে জল পান : অনেক রাত পর্যন্ত লেখাপড়া করতে চাইলে প্রচুর জল পান করতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে মস্তিষ্ক সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। এই অবস্থায় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পড়ার টেবিলে সর্বদা একটি জলের বোতল রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম : প্রতিটি মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। যদি রাতে পড়াশুনা করতে চান তাহলে এমনভাবে ঘুমোন যাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম একবারে পূর্ণ হয়। যদি দিনের বেলা ঘুমোনোর প্রয়োজন হয়, তবে ঘুমিয়ে নেওয়া দরকার। শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে নিতে হবে।
সামান্য বিরতি : যদি কোনও ফাঁক না নিয়ে অনেক ঘন্টা দেরী করে পড়াশোনা করা হয়, তবে ঘুম আসবে না। তাই বিরতিতে দু'ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করা যাবে না। দুই ঘণ্টা পর কিছুক্ষণ এখানে-সেখানে হাঁটুন। হাল্কা ব্যায়ামও করা যেতে পারে। দু'ঘন্টার ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিশ্রাম প্রয়োজন। এর ফলে মন আবার সতেজ হয় এবং ঘুমের সমস্যা হয় না।
জল দিয়ে মুখ ধোয়া: রাতে পড়াশোনা করার সময় সময়ে সময়ে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ঘুম পালাবে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে নিজের সাথে কথা বলুন।
জোরে আওয়াজ করে পড়া : যদি ঘুমের সমস্যা বিরক্ত করে, তাহলে জোরে জোরে পড়তে পারেন। এ ছাড়া লেখালেখিতে বেশির ভাগ সময় ব্যয় করলে ঘুম আসবে না।
No comments: