রান্নার তেলের ব্যবহার ও সতর্কতা
তেল ছাড়া রান্না সম্ভব না। আমরা রান্নার জ য় বিভিন্ন রকমের তেল ব্যবহার করি। আজ এই পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বিভিন্ন রকম রান্নার তেলের ব্যবহার ও সতর্কতা।
সয়াবিন তেল -
সয়াবিন তেল শরীরের কোলেস্টেরল কমায়। এটি ওমেগা-৩,৬ এর একটি ভালো উৎস যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা:- এই তেলটি ডিপ ফ্রাই-এর জন্য ব্যবহার করবেন না , অন্যথায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বিঘ্নিত হতে পারে।
উদ্ভিজ্জ ঘি বিপজ্জনক -
এতে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই তেলের পরিপ্রেক্ষিতে রিফাইন্ড তেল একটি ভালো বিকল্প। সীমিত পরিমাণে দেশি ঘি ব্যবহার করুন। প্রতিদিন এক চা চামচ খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম তেল -
বাদাম তেল কোলেস্টেরল কমায়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি রান্নার তেল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতা:- এই তেল হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কিন্তু অন্য কোনো তেল ব্যবহার না করা বা প্রতি তিন মাস পর পর তা পরিবর্তন করার কারণে ধীরে ধীরে ধমনীতে জমতে শুরু করে।
সরিষার তেল -
সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড। এতে কোলেস্টেরল ও এলডিএল কম এবং ভিটামিন-ই বেশি। এই তেল অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করে । সরিষাতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি চিনির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
সতর্কতা:- এটি তিন মাসের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করলে এতে উপস্থিত ইউরোসিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এই উপাদানটি হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কোষের মারাত্মক ক্ষতি করে।
নারকেল তেল -
এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, কিন্তু কোলেস্টেরল নগণ্য। এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকে ঠিক আছে। এই তেলটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এই তেল ওজন কমাতে সহায়ক।
সতর্কতা:- মাঝে মাঝে সবজি তৈরিতে ব্যবহার করুন তবে এই তেলে ডিপ ফ্রাই করবেন না। এর সাথে অন্যান্য তেল ব্যবহার করা উচিত।
No comments: