সদ্যজাত শিশুদের ৫মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা ভাবে জল খাওয়াতে বারন করা হয় কেন?
জল আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই বেশি করে জল পান করার উপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার নিজে না বললে নবজাতককে প্রথম ৬ মাসে জল দেওয়া হয় না।
বাচ্চাদের খাদ্যের চাহিদা জানা আসলে একটু কঠিন কারণ তারা কথা বলে আমাদের বলতে পারে না। মায়েরা প্রয়োজন ছাড়াই জল পান করলে তা তাদের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
এটি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারে এবং খিঁচুনি হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই অবস্থাকে জলের নেশা বলা হয়। এই অবস্থা শিশুদের মধ্যে খুব কমই দেখা যায়, কিন্তু তারপরও কিছু শিশুর বাবা-মা তাদের অতিরিক্ত জল দিয়ে থাকেন, যা শিশুর মধ্যে জলের নেশা তৈরি করে।
আসলে শিশুদের যে দুধ খাওয়ানো হয় তার মধ্যে জলের মিশ্রণ থাকে, যা তাদের শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। ফলে শিশুদের আলাদা ভাবে জল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিছু বাবা-মা তাদের শিশুকে ৬ মাস বয়সের আগেই জল এবং হাল্কা জুস দেওয়া শুরু করে যাতে তারা অতিরিক্ত পুষ্টিও পায়। কিন্তু শিশুদের এই ধরনের পুষ্টি বা হাইড্রেশনের প্রয়োজন নেই। এই জল শুধু তাদের ক্ষতি করবে। কারণ এই মুহূর্তে শিশুর কিডনি জল ফিল্টার করতে অক্ষম।
সদ্যজাত শিশুকে অতিরিক্ত জল খাওয়ালে তার নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যেমন -
* ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকা।
* শিশুর বমি ও বমি বমি ভাব।
* শিশু খুব অলস এবং মাথা ঘোরা অনুভব করে।
* বাহু, হাত ও মুখ ফুলে যাওয়া।
* শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিক অনুভূতি।
* শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই কম।
কতটা জল পান করানো উচিৎ শিশুকে?
৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ তারা বুকের দুধ দ্বারা হাইড্রেটেড হয়। ৬মাস থেকে ১বছর বয়সী শিশুকে দিনে আধা থেকে এক কাপ জল দেওয়া যেতে পারে। এই পরিমাণ জল শিশুর হাইড্রেশনের চাহিদাও পূরণ করে এবং তাদের নিরাপদও রাখে।
No comments: