Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

শিশুদের দই খাওয়ানোর ৬টি সুবিধা, খাওয়ানোর কিছু অসুবিধা ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা


জন্মের প্রায় 6 মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  তার পরেও বাবা-মায়েরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই শিশুর খাদ্যতালিকায় কিছু যোগ করতে হবে না।  আমাদের প্রশ্ন হল, দই কি শিশুকে দেওয়া যাবে?  প্রথমত, শিশুকে দই খাওয়ানোর সঠিক বয়স জানা জরুরি।  তবেই শিশুর খাদ্যতালিকায় দই যোগ করা যেতে পারে। 


 উল্লেখ্য, প্রচুর পরিমাণে জল, ক্যালরি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ইত্যাদি রয়েছে।  আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে।  আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো শিশুদের দই খাওয়ালে কী কী উপকারিতা ও অসুবিধা রয়েছে।  এছাড়াও দই খাওয়ানোর সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।  এটাও জানবে।  এর জন্য আমরা নিউট্রিশনিস্ট এবং ওয়েলনেস এক্সপার্ট বরুণ কাত্যালের সঙ্গেও কথা বলেছি। 


 1 - হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য


 আসুন আমরা আপনাকে বলি যে দইয়ের ভিতরে পাওয়া ক্যালসিয়াম শুধুমাত্র হাড়কে সুস্থ রাখে না, এটি শিশুদের হাড়ের বিকাশের জন্যও উপকারী।  এ ছাড়া শিশুর দুর্বল হাড়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে শিশুদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করতে পারেন।


 2 - দাঁত শক্তিশালী করুন


 আমরা আগেই বলেছি, দইয়ের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা শুধু হাড়কে মজবুত করে না, দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজনীয়।  দাঁত মজবুত করতেও ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  এমন পরিস্থিতিতে দাঁতের সমস্যা দূর করতে দই খাওয়া উপকারী।


 3- পেটের অনেক সমস্যা দূর করে


 আসুন আমরা আপনাকে বলি যে দই পেটের সমস্যা দূর করতে উপকারী।  আপনার শিশু যদি পেট ব্যথা, অন্ত্র ফুলে যাওয়া, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথার কারণে মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় অস্থির থাকে, তাহলে শিশুর খাদ্যতালিকায় দই যোগ করে আপনি এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারেন।  পেট সুস্থ রাখতে দই উপকারী।


 4 - ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়


 ডায়রিয়ার সমস্যা সারাতেও দই উপকারী।  আমরা আপনাকে বলি যে ডায়রিয়ার সমস্যা শিশুর মধ্যে সাধারণ।  এমন পরিস্থিতিতে শিশুর খাদ্যতালিকায় দই যোগ করে মায়েরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।  তবে মনে রাখবেন ডায়রিয়া বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।  তার পরই শিশুর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন।


 5 - অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি


 শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল।  এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা সহজেই যেকোনো রোগ বা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে।  মায়েরা যদি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে তাদের খাবারে দই যোগ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন।


 6 - রক্তের ক্ষতি থেকে বাঁচান


 রক্তশূন্যতার সমস্যা হলো রক্তশূন্যতা।  শরীরে রক্তের অভাব হলে রক্তশূন্যতার সমস্যা হতে পারে।  আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ফোলেট লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে খুব সহায়ক।  এমন পরিস্থিতিতে, দইয়ের ভিতরে পাওয়া ফোলেট এই সমস্যা দূর করতে আপনার কাজে আসতে পারে।


শিশুদের দই খাওয়ানোর সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে


 1- শিশুদের খাবারে খুব বেশি ঠান্ডা দই যোগ করবেন না।


 2- আপনি যদি শিশুদের খাদ্যতালিকায় সম্পূর্ণ চর্বিযুক্ত দই যোগ করেন তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


 3- বাচ্চাদের ঘরে তৈরি দই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।


 4- দইয়ের প্রভাব ঠাণ্ডা, এমন অবস্থায় শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে দই খেতে বাধ্য করবেন না।


 5 - আপনি যদি বাচ্চাদের ফলের সাথে দই দেখে থাকেন বা এর স্বাদ বাড়াতে ফল যোগ করেন তবে ফলের টুকরো ছোট রাখুন।  অন্যথায় ফল শিশুদের গলায় আটকে যেতে পারে।


 শিশুদের দই খাওয়ানোর অসুবিধা


 যেকোনো কিছুর অতিরিক্ত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।  দইয়ের ক্ষেত্রেও তাই।  শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণে দই দিলে তা শিশুদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।  আসুন আমরা আপনাকে বলি যে দইয়ের স্বাদ ঠান্ডা।  এমন পরিস্থিতিতে শিশুদেরকে সীমিত পরিমাণে দই খাওয়ান।  আমরা পরামর্শ দিই যে শিশুদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করার আগে একবার বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এর সীমিত পরিমাণ সম্পর্কে জেনে নিন।  তবেই শিশুদের দই খাওয়ান।  আমরা আপনাকে বলি যে শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণে দই খাওয়ালে তারা ফ্লু, সর্দি, সর্দি, কাশি, সর্দি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হতে পারে।

No comments: