কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার
বর্তমানে কোষ্ঠকাঠিন্য বহুল চর্চিত ও সাধারণ একটি রোগে পরিনত হয়েছে। নানা কারণে এটি হতে পারে। তবে অনেক সময় বংশগত কারণেও এটি দেখা যায়। তবে যার কারনে সবচেয়ে বেশি এটি হয় তার মধ্যে রয়েছে অসময়ে খাবার খাওয়া, রাতে খাবারের সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া, জল কম পান করা, ভাজা জিনিস বেশি খাওয়া, একই ধরণের খাবার ক্রমাগত খাওয়া, খাওয়ার পর এক জায়গায় বসে থাকা ,অতিরিক্ত খাওয়া এবং ব্যথানাশকের মতো যে কোন ওষুধ।
তবে এর চিকিৎসার পাশাপাশি আছে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার। যা খুব সহজেই আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। আসুন জেনে নেই এর ঘরোয়া প্রতিকার -
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জলে লেবুর রস ও কালো লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও থাকবে না।
প্রতিদিন রাত্রে কুসুম কুসুম গরম জলের সাথে হরিতকী গুঁড়ো বা ত্রিফলা মিশিয়ে পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।
মধু কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে কিশমিশ ভেজানো জল সমেত কিশমিশ ভালো করে চিবিয়ে খান।
রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ গোটা ধনে ও মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাসি মুখে পান করুন। এটা একটানা করলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে পেঁপেও খুবই উপকারী। এটি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। দিনে একবার পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আপনি কাঁচা পেয়েও খেতে পারেন আবার চাইলে পাকাও খেতে পারেন।
ডুমুরও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রাতে ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। এভাবে এক সপ্তাহ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম হয়।
এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মরসুমি ফল ও শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হলো সারাদিন প্রচুর জল পান করতে হবে। যদিও প্রত্যেকেরই অন্তত আট গ্লাস জল পান করা উচিত, তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের আরও বেশি করে জল পান করা উচিত। আর অবশ্যই বেশি ভাজা ও ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
No comments: